পাঠক ডেস্ক : মা, ও মা... মানুষ মারা গেলে নাকি আকাশের ‘তারা’ হয়ে যায়? বলো না মা!
কে বলেছে তোকে?
সিয়ামের আম্মুকে বলতে শুনেছি মা।
হুম (হ্যাঁ), সূচক মাথা নাড়লেন (রাবেয়া বেগম)।
তাহলে মা; আমার বাবা কোন তারাটা? ওই যে বড় ওই তারাটা।
এবার রাহাতের কথার কোনো উত্তর দিতে পারলেন না রাবেয়া বেগম। পারবেনই বা কি করে, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর যে তার জানা নেই।
আচ্ছা মা, বাবাকে বলোনা আমার জন্য নতুন জামা পাঠাতে, বলোনা মা।
আর কান্না ধরে রাখতে পারেননি রাবেয়া বেগম। দু’ফোটা অশ্র“জল মনের অজান্তেই গড়িয়ে পড়লো।
গত বছরই ঈদের আগের দিন রাহাতের জন্য টুকটুকে জামা নিয়ে বাড়ি আসতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আমিন সাহেব পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
সেই থেকেই রাহাতের বাবা শুকতারা হয়ে ওই আকাশে।
আজ ঈদের দিন রাহাত বায়না ধরেছে বাবার হাত ধরে ঈদগাহে যাবে। এই বায়না না মেটাতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাবেয়া বেগম, তিনি যে অসাড়।
যখন চারদিক সেজেছে নতুন আমেজে, সব ছেলেমেয়েরা তাদের বাবার হাত ধরে ঈদগাহে যাচ্ছে, ঘরে ঘরে সেমাই-পায়েসের সমাহার তখন আমিন সাহেবের ঘর থেকে প্রতিফলিত হচ্ছে মা-ছেলের কান্না, নীরব কান্না।
যে কান্না ১জন বাবা নামের শুকতারা পাওয়ার আশায় অশ্র“ ঝরছে কপাল বেয়ে......!
লেখক : সাইফ রহমান সাঈদী