রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৫:৩৪

ঢাকা সপ্তম সুখী শহর !

ঢাকা সপ্তম সুখী শহর !

ঢাকা শহর বিশ্বের সপ্তম সুখী শহর। এতোকিছুর পরও কেন সুখী। আসুন দেখি-

অনেকক্ষণ ইলেকট্রিসিটি না থাকার কারণে আপনি ঘেমে টেমে একাকার। হুট করে ইলেকট্রিসিটি আসলো। আপনার মন আনন্দে নেচে উঠলো! সেসময়কার সুখটা একবার ভেবে দেখুন!

জ্যামে বসে দুই ঘণ্টা। মানুষের ক্যাচক্যাচানি, গরম, হকার সব মিলিয়ে আপনি প্রায় মরে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে জ্যাম ছুটলো। বাসের জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস আসতে লাগলো। বলুন, তখন আপনি কোন পর্যায়ের সুখী।

মশার যন্ত্রণায় অস্থির, মশারি ছাড়া ঘুমানো প্রায় অসম্ভব। সারারাত মশার সাথে যুদ্ধ করে রীতিমত অস্থির হয়ে শেষ রাতে আরামে চোখটা বন্ধ হয়ে গেল। ভাবুন, কত সুখের ঘুম!


প্রচণ্ড গরম ঘাম ঝর্নার পানির মতো বইছে। সহ্য করা কঠিন। হুট করে রাস্তার পাশে ঠাণ্ডা লেবুর শরবত খেলেন দুই গ্লাস। গ্লাস মাত্র ৫ টাকা। আহা শান্তি! বলুন, সেই মুহূর্তে আপনি সুখী না?

বাথরুমে পানি নাই তিনদিন যাবত। তৃতীয়দিন পানি আসার পর আপনি দু’ঘণ্টা যাবত গোসল করছেন। বলুন, নিয়মিত গোসল করলে এরকম আরামের সুখ কোথায় পেতেন?

মন খারাপ আপনার। রাস্তায় বেরিয়ে কোনো টঙ দোকানে বসে পড়ুন। টঙ দোকানে যারা চা খেতে যাচ্ছে তাদের কথা শুনুন। মন ভালো হতে বাধ্য। ঢাকার রাস্তাঘাটে, টঙ দোকানে হিউমারের চাষ করা হয়। বলুন, আপনি কেন সুখী হবেন না তাহলে?

গন্তব্যে যেতে হবে। দুই ঘণ্টা যাবত কোনো বাস পাচ্ছেন না, সিএনজি যেতে রাজি হচ্ছে না। বিরক্ত হয়ে গালি দিচ্ছেন ঢাকা শহরকে। ১০০ টাকা বাড়তিতে হুট করে একটা সিএনজি রাজি হয়ে গেল। বলুন, দুই ঘণ্টা খরচ করে, ১০০ টাকা বেশি দিয়ে যে খুশী কিনে নিলেন তা সাথে সাথে যানবাহন পেলে কি পেতেন? ভাবুন কেমন সুখী আপনি!

প্রেমিকাকে নিয়ে রিকশা ভ্রমণে বেরিয়েছেন, ঝগড়া চলছে। হুট করে রিকশাওয়ালা গান গাইতে শুরু করলেন। এবার বলুন, আপনি কেন সুখী না?

আসলে আমাদের বড় বড় প্রাপ্তি নেই, অনেক না পাওয়ার মধ্যে হুট করে পেয়ে যাওয়ায় অসাধারণ সুখ আছে। তাই আমরা এতোকিছুর পরও সুখী!

লেখক : কাসাফাদ্দৌজা নোমান

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে