বাতাবি লেবুর শুকরান পেয়ে ছুটে যায় বনে,
করমচা ডালে সাদা চড়ুই উড়ায় মোরে ক্ষণে ক্ষণে,
নিষ্পলক চেয়ে থাকি বকুলের ডালে কখনও আনমনে।
কেউটেফুল ছুয়ে ভেসে যায় মন গাঙচিলের পানে।
নীলক্ষেত থেকে তুলে আনি নীলক্ষার সব নীল।
পূর্ব অপূর্ব সব দেশের ছন্নছাড়া ছবির সাথে,
নেই কোথাও এই সোনার ছবির মিল।
পড়ন্ত যৌবনা শেষ বিকেল বাবলার ফুলে ফুলে ,
আমনধানের ক্ষেত ঢেউ তোলে কৃষাণীর এলোচুলে।
বিলের ওপার একজোড়া বক ,
উড়তে চাওয়া আমার তো নয় শখ।
মনছুটে যায় মাঝির খেয়ায়,
উর্বর বদ্বীপের সবুজ ডানায়।
সবুজের নীলাচলে নারী চলে পথ,
আমি থমকে যায় হঠাৎ।
করি মরণের শপথ।
মাতৃভুমি তো এরেই বলে
বেখেয়ালির উরুর উনুন,
সবুজ ঘাসের নির্ভুল বুনন।
শেষপ্রহরে ডাহুক ডাকে,
আমি খুজি আমার তাকে–
মন বোঝেনা সুরুজ স্বপন
ঊষালগ্ন হবেই আপন।
আর সকাল আমার আরও ছটফটানি।
মন চলে যায় বাশের বনে।
লুকোচুরি ভাব ধরে সে শালিক পেচার গান শোনে।
পৌষের ঊষায় শীতল মনে,
মৃদু বাতাসে কাপি থর থর,
কৃষক চলে ক্ষেতের টানে,
আমি ঘাড় করি কাত,
করি বিজয়ের শপথ।
জল টুপ টুপ বর্ষার টানে হঠাৎ কাদে মন।
বৃষ্টি ভেজা সোনার কাথায় এলিয়ে রাখি মন।
সাতরে যাব চৈত্রু বাওড় হাসের পালক ধরে,
বটের পাতার ঘরখানি মোর উড়লো বুঝি ঝড়ে।
কালবৈশাখী ঝড় চলে যায় ঝড়ের বেগে বোধহয়।
আমি নির্বাক হয়ে কুপোকাত সামলে উঠি ফের,
এর চেয়ে তো একাত্তরে হারিয়েছি ঢের!
বলতে চাইনা দুঃখের সেদিন,
বলব এবার নির্মল হাওয়ায় দোয়েল ডাকার গান।
ফিঙে,চড়ুই ভাত শালিক আর পেচার মহৎপ্রাণ।
১০ আগস্ট, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস