হাতের তালুর মত বালিশের তলপেট,
আমলকী তেলের সুভাস ছড়াই অবিরত।
কনুইয়ে টেবিলের অনাবিল আদরের ক্ষত চিহ্ন ডুবে থাকে কর্মব্যস্ততায়।
কথা ছিল কোন এক আমাবস্যার রাতে দেহপাত ঘটবে আমার।
বিচ্ছিন্ন করা হবে দেহ থেকে হৃদপৃন্ড তুমিহীনতায়।
আমার শবের ওপর রঙ্গমহল গড়ে তুলবে তোমার অসভ্য পিতা।
যার ভালবাসাহীন কর্কশ জীবনযাপন।
কথা ছিল,হ্যা আমি কথা দিয়েছিলাম জোহরার নতুন কবরের পাশে দাড়িয়ে,
যদি না পায় তোমায় সেখানে বেড়ে যাবে আরও একটি নতুন কবর,
তুমি অবুজ শিশুর মত আমার লাশের পাশে হাতপা ছুড়বে আকাশের দিকে।
—হে খোদা আমাকেও মৃত্যু দাও!
আমি কথা রাখতে পারিনি।
আজও দেখি তোমার অসভ্য পিতার অবাধ্য জীবনযৌবন।
সেখানে জমিয়েছেন শতবছরের মৃত ভালবাসার স্তুপ।
ভাবতাম ভালবাসা মরলে সেখানে জন্মে নিষ্পাপ গোলাপ,
কিন্তু সেখানে আজ জন্মেছে বিশাল কাটাদার বৃক্ষ।
এটা তোমার বাবার ভালবাসার স্মৃতিস্তম্ভ।
দুঃখের বিষয় সেখানে রয়েছে আজও একটি কবর।
কবরের পাশে একটা পাতাবাহার,
কবরের বুকে সবুজ দুর্বাঘাস।
মরতে পারিনি আমি জীবনকে ছেড়ে,
মরতে পারিনি আমি কবরকে সাক্ষী রেখে,
মরতে পারিনি আমি তোমায় দেওয়া কথা রাখতে।
আজও আমার পায়ের আঙুলগুলো ছুটে চলে আমবনের দিকে।
মহাসিনের চায়ের দোকানটায়।
ঈদগাহ, ইশকুল মাঠ,তোমার চরে বেড়ানো ইশকুল মাঠ।
যেখানে হয় প্রথম চোখাচোখি।
আমি কথা দিয়েছিলাম যেকথা রাখতে পারিনি।
সম্পাদক দায়ী নয়
৮ জুলাই ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস