রিকশায় উঠলাম ৷ বেশ ভাব নিয়া বইসা আছি ৷ কিছুদুর যেতেই একটা মেয়ে রিকশা থামাতে বলল ! রিকশা থামতেই, হুট করে মেয়েটা রিকশায় উঠে বসলো !
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বললো , কলমায় নতুন ?
হ্যা বলে চুপ মেরে গেলাম ৷ নিজের থেকেই মেয়েটা বলল, 'আসলে কলমায় রিকশা শেয়ার করে অনেকেই, আপনি জানেন না বোধ হয় ৷ '
ও, বলে আবার চুপ ৷ যাক, রিকশা ভাড়াও শেয়ার করলে সমস্যা নাই !
ওমা, রিকশা থেকে নেমে মেয়ে হন হন করে চলে গিয়ে ট্যাম্পুতে উঠলো, ভাড়া আমাকেই দিতে হলো !
মাথাটা হট হইয়া গেলো ! যে ছেলে বাস ছাড়া যাতায়াত করে না, সে উঠলো ট্যাম্পুতে ! যেই ট্যাম্পুতে ফাজিল মেয়েটা বসে আছে, সেটাতে !
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে না দেখার ভান করে বসে আছে ৷ আমি এবার মেয়েটাকে বললাম, তোমার কাছে ১০০ টাকা ভাংতি হবে ?
হ্যা, বলে মেয়েটা চুপ । যেন চিনেই না আমাকে !
তুমি সাভার যাবা না ?
হুম ৷
জানো আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে কি বলে ?
কি ?
পিয়াস । বলে একটা হাসি । মেয়েটাও মনে হয় একটু ফ্রি হলো । আমরা কথা বলতে লাগলাম ।
মেয়ের সে কি হাসি আমার কথাগুলো শুনে ! আমি মনে মনে রাগতেসি |
সাভার এসেই, আকামটা করে দিলাম । ট্যাম্পু থেকে নেমেই হন হন করে হাঁটা ধরলাম । আর ট্যাম্পু ড্রাইভার মেয়েটাকে ধরলো ভাড়া দেয়ার জন্য ।
রাস্তা পার হয়ে তামাশা দেখলাম কতক্ষণ । মেয়েটা চিল্লাচ্ছে, আমি ঐ লোকটার ভাড়া কেন দিব? আমি ঐ লোকটাকে চিনি না !
ড্রাইভারের জবাব, একসাথে রিকশা থেকে নামলেন, ট্যাম্পুতে উঠলেন, আর এহন কন হেরে চিনেন না ! মশকরা করেন? ভাড়া দ্যান !
উচিত হইছে ! এই মেয়ে ভবিষ্যতে মাগনা রিকশায় চড়তে গেলে এই ঘটনা ১০০ বার ভাববে ! আপাতত ঐ ১০০ টাকা থেকে আমার ভাড়াটা দিয়ে দিও ধান্দাল মেয়ে কুথাকার !!!
লেখক: আবির আহম্মেদ পিয়াস