সুদীপ বিশ্বাসঃ বতর্মান যুগ বিজ্ঞানের যুগ.বিজ্ঞান ছাড়া যেন আমরা এক পা ও চলতে পারিনা। বিজ্ঞান আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত.কিন্ত তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের এ বিপ্লব একদিনে সম্ভব হয়নি। যুগে যুগে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আধুনিক বিজ্ঞান, আমাদের সভ্যতা । তাদের আলোয় আলোকিত আমাদের বিশ্ব ।
আমরা জেনে নেব বিশ্বের সেরা কিছু বিজ্ঞানীর কথা
আর্কিমিডিস:আর্কিমিডিসকে বলা হয় আত্মভোলা বিজ্ঞানী.যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ২৮৭ বছর পূর্বে তিনি সিসিলিতে জন্ম গ্রহন করেন.তিনি জাতিতে ছিলেন গ্রিক.গনিত আর বিজ্ঞান নিয়ে তিনি সারাদিন থাকতেন.তিনি বস্তুর ঘনত্ব আর তরল পদার্থে কোনো জিনিস ভেসে থাকার সূত্র আবিষ্কার করেন.এছাড়া তিনি গোলীয় দর্পণে সূর্য রস্মি আপতিত করে আগুন ধরানোর কৌশল আবিস্কার করেন.জাহাজের পানি নিস্কাসনের জন্য তিনি একটি প্যাঁচানো স্ক্রু ও আবিস্কার করেন.একবার গ্রীক রাজা হিরো একটি সোনার মুকুট বানালেন তার সন্দেহ হচ্ছিল মুকুটিতে
খাদ আছে.তিনি মুকুটি না ভেঙ্গে খাদ বের করার দায়িত্ব দিলেন আর্কিমিডিসকে.তিনি এ নিয়ে অনেক গবেষণা করলেন. একদিন গোসল করার জন্য তিনি চৌবাচ্চায় নেমেছিলেন। তিনি দেখলেন কিছু পানি উপচে পড়ছে আর তার নিজেকে হালকা মনে হল. তিনি আবিষ্কার করলেন প্লবতা ও পানিতে বস্তুর আয়তনের সূত্র. তিনি পোশাক না পরে ইউরেকা ইউরেকা বলতে বলতে রাস্তায় বের হলেন.বাংলায় ইউরেকা বলতে বোঝায় পেয়েছি.তিনি প্রমাণ করেছিলেন মুকুটটিতে খাদ আছে
আলবার্ট আইনস্টাইন :সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালে জার্মানীতে জন্মগ্রহন করেন.তিনি আপেক্ষিক তত্ত্ব আলোর তড়িৎ ক্রিয়ার উদ্ভাবক.তিনি ১৯২১ সালে আলোর তড়িৎ ক্রিড়ার জন্য নোবেল পান। তিনি খুব রসিক ছিলেন। তিনি একদিন পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন,হঠাৎ বৃষ্টি নামতে শুরু করল। তিনি তার মাথার হ্যাটটা খুলে ওভারকোটের তলায় বগলদাবা করলেন। বন্ধুরা তাকে বলল একি হ্যাটটা তুমি লুকাচ্ছো কেন? তিনি বললেন বৃষ্টিতে ভিজে হ্যাটটা খারাপ হয়ে যাবে;কিন্তু চুলের তো কোনো ক্ষতি হবেনা।
৫আগস্ট, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস