নাজমুল ইসলামের কবিতা ‘বেদনার বালুচর’
আমি প্রজাপতির ঐ পাখনা মেলে খুজে গেছি তোমার সৌখিন প্রেম।
আমি মেটে ঘরের দেওয়াল জুড়ে আটকে আছি হয়ে তোমার ছবির ফ্রেম।
তুমি ছুয়ে দিলে হব প্রজাপতি লাল,কখন অজান্তে পরাগের পরে ঘেষবে আকাল।
আমি এবেলার উড়ু চিল সন্ধ্যায় নতশির তর্কবাগীশের উঠনে।
জানি স্বার্থের বেড়াজালে আটকে আছে সবই রব কিনা রব তোমার ও মনে।
তুমি বোঝ কিনা আজও ফের ফিরিয়ে দিয়েছি তোমার ভালবাসা।
নিঃশব্দে নিয়েছি বিদায় আমি আর হাসব না,তোমায় ভালবাসব না।
তুমি আমায় তবুও হারাতে চাও জানি,হারতে চাইনা আমি আর।
অকপটে মেনেছিলেম তোমার যত ইচ্ছে।
তাই আজও সূর্য চন্দ্র এ নীলাকাশ জোনাকিরা সব আমার বিপরীত।
সূর্য তোমার অগ্নিঝরা অহংকারে আমায় ঝলসে দেয়।
চন্দ্র বিষসাক্ত পূর্ণিমায় আমায় নীলবর্ণ করে তোলে।
নীলাকাশে পাশাপাশি একজোড়া নীলতারা দেখি না আর।
জোনাকিরা আমায় নিয়ে লুকোচুরি খেলে নির্জন আধারে।
তুমি নেই তাই দিক্বিদিক শ্বশানের মত অপূর্ন।
মোটা লালকালির আচড় পড়ে গেল নির্মল হৃদয়ে।
রক্তাভ নীলশিরা ভেসে ওঠে চোয়ালে আমার তুমি নেই মনে হতেই।
স্পর্শ গুলো আজ দিশেহারা, ইচ্ছেগুলো ছন্নছাড়া,সেই মায়াবতীর চেয়ে থাকা আজ দেখিনা কোথাও।
তুমি যে শ্মশানে থাক সেখানে আমাকেও নিয়ে যাও।
না হয় আমার সমান দুঃসময়ের ভাগি হও।
এত কষ্ট, এত জ্বালা,এত দুঃস্বপ্ন, এত পরাজয় আমার।
তবু তুমিই আমার সব, সব দুঃখ—দুঃসহ দুর্লভ বেদনার বালুচর।
২৮, জুলাই, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস