- জানিস কয়েক দিন থেকে একটা ছেলেকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছি ।
- মানে ?
- মানে ছেলেটা নাকি আমাকে ভালোবাসে ।
- আর তুই তাকে পাত্তা দিচ্ছিস না ?
- উহু । ওর ভালোবাসার পরীক্ষা নিচ্ছি ।
- তারমানে তুইও ওকে ভালোবাসিস ?
- তোর মাথা খারাপ? আমি ওকে কোন দুঃখে ভালোবাসবো ?
- তো তুই ওর পরীক্ষা নিচ্ছিস কেন?
- এমনি । আমার মজা লাগছে । ছেলেটা মোটামুটি লেখে । আমাকে কি সব হাবিজাবি লিখে ম্যাসেজে দেয় । পড়তে ভালোই লাগে । সে জন্য রেখেছি ।
- ও.. । তো কি পরীক্ষা নিচ্ছিস ?
- এই তো ও যেটা করতে পারবে না সেটা নিয়ে ঝগড়া বাধাচ্ছি । রাগারাগি করছি । আর বোকা ছেলেটা গরম খুন্তির ছ্যাকা খাওয়া বেড়ালের মত মিউ মিউ করে । কি যে আনন্দ লাগে !
- ছেলেটার জন্য তোর একটুও ভালোবাসা নেই ?
- এই ছোকরার জন্য আবার কিসের ভালোবাসা রে? তবে একটু মায়া হয়, এই যা ।
- ছেলেটা কি এতো বোকা ? কিছুই বোঝে না ?
- আমার তো মনেহয় সব বোঝে । কিন্তু আমাকে ভালোবাসে বলে কিছু বলে না ।
- বাব্বাহ । তুইও পারিস ! তবে বলি কি ছেলেটাকে ধোঁকা দিস না ।
- হুম, হইছে চুপ কর । চল ক্লাসে যাই । স্যার আসছে ।
***( কয়েক মাস পরে..)***
- জানিস, ঐ ছেলেটা না এখন আর আমাকে পাত্তা দেয় না ।
- ও তবে তো ভালোই হইছে ।
- না ভালো হয় নি । আমি ওকে এখন ভীষণ চাই । কিন্তু এখন আর ও আমাকে পাত্তা দেয় না ।
- কেন পাত্তা দিবে না কেন ?
- ও যখন আমাকে ভীষণ চাইতো তখন আমি ওকে পাত্তা দেইনি । সব সময় ইগনর করে গেছি । একদিন দেখি হুট করে ও আর আমাকে ম্যাসেজ দেয় না ।
- তুই ওর সাথে যোগাযোগ করছিলি ?
- হুম সারা পাই নি । জানিস ও রোজ আমাদের ক্যাম্পাসে এসে আমাকে দেখে যেতো । তারপর কি পরেছি, কি পরলে আরো ভালো লাগতো জানিয়ে ম্যাসেজ দিতো ।
- হুট করে সে এতটা পাল্টে গেলো ?
- ও বেশ কিছুদিন আগে থেকে হ্যাঁ অথবা না একটা উত্তর চাইতো । আমি কিছু বলতাম না ।
- তারপর..?
- তারপর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে অন্য মেয়ের সাথে....!
- কিরে তুই দেখি খুব বেশি সিরিয়াস ! এখন দেখি শেষমেষ ছ্যাকাটা তুই খেলি !
- হইছে চুপ কর, আমার খুব কান্না পাচ্ছে ।
- শোন অন্যকে কাঁদালে নিজেকেও কাঁদতে হবে । এটাই স্বাভাবিক ।
লেখক: বিদ্রোহী মন ।