রাস্তার কোলাহল থেকে কুড়িয়ে
ডাষ্টবিনে শেয়াল-কুকুরের ক্ষুধার্ত মুখ
হতে ছিনিয়ে তোমায়
নিষ্কলুষ ভগবান বানিয়েছি
কলুষিত প্রার্থনায় আমার।
প্রতিদিন, প্রতিমাস, প্রতি বছর,
বছর বছর শম বছর
পূঁজো দেই, অর্চনা দেই, অর্ঘ্য দেই
কীর্তন করি শরম বিভ্রাটের
বাহানায় তোমার নামে ভগবান
তবুও তুমি তুষ্ট হলেনা।
মধ্য দুপুরে তপ্ত দাবদাহে
ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত
হাবুডুবু খাচ্ছিলে তুমি,
আমি আর আমরা কজন হাজারো
জোনাকির আলোয় জালালাম
আলোর মশাল,
মোঘল হেরেমের নটিদের মতো
সে আলোয় ঝলমলিয়ে উঠলো
বিবর্ন মুখ খানি
পূর্নিমার চাঁদের মতো তোমার,
যেন সদ্য ভূমিষ্ঠ নিঃষ্পাপ শিশু
বড়ই নরম তুলতুলে বয়স তোমার
ঈশ্বরও মুগ্ধ স্বয়ং নিজেই
তারকাদের সাথে অঙ্গিকারে আবদ্ধ
তুমি,
শস্য দানা ফুল দিবে, ছায়া যুক্ত বৃক্ষ দিবে
রোদে ভিজার বৃষ্টি দিবে
ডিম ওয়ালা পাখি ছানা - তাও দিবে,
প্রেমিক আমরা কজন তোমার
অষ্ট প্রহর ব্যাপি কত কীর্তন দিলাম
কতো মন্দিরে মন্দিরে
কত মসজিদে নির্লজ্জ প্রার্থনা
কতো অন্তরে কতো গৃহ ঘরে
দিলাম জলসা আর বন্দনা
দিলাম আরো কতো কি
তার পরেও তুমি তুষ্ট হলেনা ভগবান
তবুও তুমি তুষ্ট হলেনা?
২৩ জুলাই,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর