রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:২০:৫৬

কোনো এক মারাত্মক দুর্ঘটনা !

কোনো এক মারাত্মক দুর্ঘটনা !

সম্ভবত ২০০৭ সালের কথা। ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালীন সময়ে কক্সবাজার গেছিলাম বন্ধুরা মিলে। ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ার পড়াকালীন অবস্থায় বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার যাওয়া খুব সহজ কথা নয়।

প্রথম সমস্যা নিজেদের সাহস সঞ্চয় করা। তারপরে তো পরিবারের অনুমতি সহ বিশাল ক্যাচাল আছেই। তাই আমাদেরও অনেক ঝামেলা পোহাইতে হইছে কক্সবাজার যেতে। যাই হোক, সেই ঘটনা আরেকদিন বলবো।

কক্সবাজারে গিয়ে 'কোরাল রিফ' নামে মোটামুটি ভালো মানের একটা হোটেলে উঠেছি। আমরা রুম নিয়েছিলাম মনে হয় ৪ তলায়। লিফট দিয়ে উঠতে হতো। একদিন সন্ধ্যায় বাইরে থেকে ফিরে রিসেপশনে এসে ঢুকেছি, এমন সময় দেখি লিফট এর দরজা একটু খুলছে একটু বন্ধ হচ্ছে। কি ব্যাপার দেখতে লিফটের কাছে দৌড়ে গেলাম।

গিয়ে দেখি লিফটের ভিতর থেকে একজন আটকা পরে আছে। সে ভিতর থেকে টেনে দরজা খোলার চেষ্টা করছে। আমি আর বাবু মিলে লোকটাকে উদ্ধার করার জন্য টেনে লিফটের দরজা খুললাম। দরজা খুলে তো আমরা হতবাক!

সেখানে কোন লিফট ছিলনা, লোকটা লিফটের গর্তে পড়েছিল। কারিগরি ত্রুটির কারণে লিফট না থাকা সত্ত্বেও দরজা খুলে গেছিল, আর লোকটা খেয়াল না করে পা দিতেই নিচে পড়ে গেছে, ওদিকে দরজাও আটকে গেছিল।

একটু ভাবতেই বুঝলাম বিশাল একটা দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছিল সেই লোক। সে গর্তে পরে থাকা অবস্থাতে যদি লিফটটা উপর থেকে নিচে চলে আসতো তাহলে সেখানেই শেষ। লিফটের নিচে চাপা পরে একটা মাংসপিণ্ড হয়ে থাকতো লোকটা। আমরা এসে উদ্ধার করায় সে যাত্রা বেঁচে গেছিল।

এতো কথা বলার কারণ হলো, গত পরশুদিন ঠিক এমন একটা দুর্ঘটনাই ঘটেছে এবং তাতে একজন মারা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হলের (স্যার পিজে হার্টগ হল) লিফটে ঠিক এভাবেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছে হলের দারোয়ানের ভাগ্নে। খালি গর্তে পড়ার পর উপর থেকে লিফট এসে চাপা দিয়েছে সেই ছেলেকে।

যারা লিফট এ চলাচল করেন তাদের বলছি, একটু সাবধান হবেন। লিফটের দরজা খোলার পর খেয়াল করে নিবেন লিফট আছে কিনা, তারপর পা দেবেন। একটু অসাবধানতায় পতিত হতে পারেন কোনো মারাত্মক দুর্ঘটনায়।

লেখক: রিফাত নাজমুল

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে