এক চাষীর ঘরে গর্ত একটি ইঁদুর এক চাষীর ঘরে গর্ত করে লুকিয়ে থাকতো। একদিন ইঁদুরটি দেখলো চাষী আর তার স্ত্রী থলে থেকে কিছু একটা জিনিস বের করছেন।
ইঁদুর ভাবলো থলের ভিতর নিশ্চয়ই কোনো খাবার আছে, তাই সে গুটি গুটি পায়ে এগোলো। এগিয়ে দেখলো সেটা খাওয়ার কিছু নয়, সেটা ছিল একটা ইঁদুর ধরার ফাঁদ। ফাঁদ দেখে ইঁদুর পিছোতে থাকলো।
ইঁদুরটি বাড়ির পিছনের এক খোপে থাকা পায়রাকে গিয়ে বলল- জানো আজ বাড়ির মালিক একটা ইঁদুর ধরার ফাঁদ এনেছে। এটা শুনে পায়রা হাসতে থাকলো আর বলল- তাতে আমার কি? আমি কি ওই ফাঁদে পড়তে যাব না কি? নিরাশ হয়ে ইঁদুরটি মুরগীকে গিয়ে এই কথা বলল।
মুরগী ইঁদুরকে হেয় করে বলল- যা ভাই এটা আমার সমস্যা নয়। ইঁদুরটি হাঁপাতে হাঁপাতে মাঠে গিয়ে ছাগলকে শোনালো। ছাগল শুনে হেসে লুটোপুটি অার ঘাস খেতে থাকলো।
সেই দিন রাত্রে একটি শব্দ হলো যাতে একটি বিষাক্ত সাপ আটকে গিয়েছিল। অন্ধকারে চাষীর স্ত্রী সাপের লেজকে ইঁদুর ভেবে বের করলো, আর সাপটি তাকে কাঁমড়ে নিল। অবস্থা খারাপ দেখে চাষীটি ওঝাকে ডাকলো।
ওঝা তাকে পায়রার জুস খাওয়ানোর পরামর্শ দিল। **পায়রাটি এখন হাঁড়িতে **। চাষীর স্ত্রীর এই সংবাদ শুনে তার বাড়িতে আত্মীয় সজ্জন এসে হাজির হল। তাদের খাওয়ার বন্দোবস্তের জন্য **মুরগীকে যবাই হল। **মুরগীও এখন হাঁড়িতে। দুইদিন পর চাষীর স্ত্রী মারা গেল। আর তার দোয়া অনুষ্ঠানে **ছাগলটিকে যবাই হল। **ছাগলও হাঁড়িতে চলে গেল।ইঁদুর দুরে পালিয়ে গিয়েছিল…….বহুদূরে।
**যদি কেউ আপনাকে তার সমস্যার কথা শোনায় আর আপনি ভাবেন যে এটাতো আমার সমস্যা নয়, তবে দাঁড়ান আর একবার ভালো করে চিন্তা করুন। আমরা সবাই বিপদে আছি।
সমাজের একটা অংশ, একটি ধাপ-পর্যায়, একজন নাগরিক, যদি বিপদে থাকেন তবে পুরো দেশ বিপদে আছে। নিজের মধ্যে সিমীত না থেকে সামাজিক হোন……. আর মানবধর্মের জন্য একত্রিত হোন।