পাঠকই লেখক ডেস্ক, রমিজ উদ্দিন : সম্প্রতি স্বনামধন্য বৃটিশ চলচ্চিত্রকার রুহুল আমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। তার পরিচালিত 'হাসন রাজা'র মত একটা বিশাল বাজেট আর বিশাল আয়োজনের ছবির শুটিং শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। পোষ্ট-প্রোডাকশনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। সবকিছু পরিকল্পনামত এগোলে এ বছরের শেষের দিকেই ছবিটি রিলিজ পাবার কথা।
ছবিটি এখনো আদ্যোপান্ত দেখার সুযোগ না হলেও কিছু বিরল সেকোয়েন্স আর প্রান-প্রাচুর্যময় কিছু দৃশ্যের চিত্রায়ন আমি দেখেছি। কী চোখ ধাঁধানো সিনেমাটোগ্রাফি! কী অপূর্ব এই গল্প আর গল্পের গাথুনি!
এ হল হাসন রাজা নামের এক মরমী কবিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আবিষ্কারের গল্প। কবির জীবনের অন্তহীন অনুসন্ধান তাঁর অধ্যাত্মবাদ, তাঁর রহস্যপূর্ণ জীবন ফিল্মের মূল আধেয় হলেও এর আড়ালেই আসলে উঁকি দিয়ে উঠেছে এক সর্ব-মানবিক আর্তি, এক সর্ব-মানবিক জিজ্ঞাসা এবং গভীরভাবে এক সর্ব-মানবিক অনুসন্ধান।
এই ছবির গানগুলি বলতে দ্বিধা নেই, বাংলা গানে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন। ছবির সঙ্গীত পরিচালক উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সঙ্গীতকার বাপ্পী লাহড়ীর ক্যারিয়ারেও এই অভিজ্ঞতা মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে আমি ধারণা করছি।
ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রবাদ-প্রতিম বাঙালী অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর অন্যতম মুখ্য ভুমিকায় রাইমা সেনের সুষমাময় উপস্থিতি ছবিতে যোগ করেছে এক অনাবিল মাদকতা। যশস্বী কোরিওগ্রাফার সুকল্যান ভট্রাচার্যের পরিচালনায় ধ্রপদী আর লোক-নৃত্যের সংমিশ্রণে রচিত হয়েছে এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিভুত হবার মত সৌন্দর্যের মায়া। আরেকটা জিনিস চোখে পড়ার মত যা কোনো সমকালীন ছবিতে এর আগে দেখিনি বললেই চলে। তা হল মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে নিখুঁত অভিনব তরবারি যুদ্ধের দৃশ্য!
চলচ্চিত্রকার রুহুল আমিন, আমি মনে করি, তাঁর অদ্ভত বয়ন-কৌশল দিয়ে পুরো গল্পকেই এক দার্শনিক গভীরতায় টেনে নিয়ে গেছেন।এ হল এমনই এক ছবি যা শুরু হবার পর মন্ত্রমুগ্ধের মত অবিষ্ট হয়ে প্রতিটি মূহুর্ত স্ক্রীনে তাকিয়ে থাকা ছাড়া দর্শকের আর কিছুই করার থাকে না।
২৩ মে, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন