রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫৫:০৯

‘আমিও যে তোকে ভালোবাসি’

‘আমিও যে তোকে ভালোবাসি’

পাঠকই লেখক ডেস্ক : মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আসার দুই ঘন্টার ভেতরেই রিপোর্টা পেয়ে গেলাম। আব্বু কিছুতেই দেখতে দিতে চাই নি। কিন্তু আমার জোরাজোরিতে দেখাতে বাধ্য হলো। আমার ডি.এম.সি. তে চান্স নিশ্চিত। যদিও আমার সেখানে যাওয়ার কনো ইচ্ছা নেই। আমিতো জানিই আমি আর বেশিদিন থাকবো না। তাই এই শেষ দিন গুলো হাসপাতালের বেডে শুয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছা করছে না। এখনো অনেক কাজ বাকি আমার।

আমার খুব ফুসকা খেতে ইচ্ছে করছে। আব্বুকে বললে আব্বু এনে দিবে,কিন্তু আমারতো তোর সাথে রাস্তায় দাড়িয়ে খেতে ইচ্ছে করছে। তোর হাত ধরে সেদিনের মতো দৌরাতে ইচ্ছে করছে। আমি একা রাস্তা পার হতে পারি। কিন্তু তোকে বলি নাই কারন, বললে তো তুই আমার হাত ধরতিছ না। আমারতো সবসময় তোর হাত ধরে থাকতে ইচ্ছা করে। কিন্তু চাইলেও আর কখনো তোর হাত ধরতে পারবো না। আমার শুধু এটা ভেবেই কান্না পাচ্ছে। আব্বুকে বলেছি, আমি চলে যাবার পর তোকে এই ডাইরিটা দিতে।

তুই এখন ডাইরিটা পরছিস,তার মানে আমি এখন তাঁরার সাথে মিশে গেছি। তুই আমায় ভুল বুঝিসনা প্লিজ। তুই আমার সব চাইতে কাছের বন্ধু। আর আমি জানি আমাকে তুই কতটা ভালোবাসিস। আমি সবকিছুই বুঝেও বুঝতামনা, কারন আমি রিপোর্টটার অপেক্ষায় ছিলাম। আমিও তোকে ভালোবাসি, আর রিপোর্টা ভালো আসলে তোকে আমি সেদিনই বলে দিতাম।

কিন্তু কি জানিস,আমার ভাগ্যে তোর অত ভালোবাসা নেই। প্রকৃতি সবার সব ইচ্ছা পূরন করেনা। ওই গাধা,কাঁদবিনা। আর শোন আমায় ভুলিসনা কখনো। আমার নামটা খুব কিউট,তাইনারে..? সো তোর বেবির নাামটা আমার নামে রাখবি.. ওকে। তখন আর চাইলেও তুই আমায় ভুলতে পারবিনা। তুই তো আমায় পেত্নী বলিস। আমি কিন্তু পেত্নী হয়ে সব দেখবো। অহনার লিখা ডাইরিটা আজ ১০ বছর পর আবারও পরছিলো আবিদ।

হটাৎ পাশ থেকে ডাক এলো "বাবা"। নিস্তব্ধতা ভাঙ্গলো অহনার ডাকে। ছোট্ট আহনা বাবার গলা জড়িয়ে ধরলো। না পারেনি.. আবিদ আজও পারেনি অহনাকে ভুলতে। তাইতো আবিদ ছোট্ট অহনার মাঝে আজও খুঁজে ফিরে পাগলিটাকে।

লেখক : প্রিয়ন্ত তূর্য
৬ মে,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসবি/এসএস

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে