সৃষ্টিকর্তার অন্বেষণ
আঁধারে রজনী গড়িয়াছেন যিনি
তাহাকে আমি খুজিয়া ফিরি
খুজিতে যাই গহীন অরণ্যে
আকাশ ছোঁয়া ঐ পর্বত কূলে
তের নদী সাত সমুদ্র ঘুড়ে
পাইনা খুঁজে তাহারে আমি।
মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে---
কে করেছে এই; আকাশ মাটি সৃষ্টি?
দিয়েছেন আলো; বহিয়াছেন বাতাস, মেঘ-বৃষ্টি
দিয়েছেন প্রাণ; করেছেন, আমাকে-তোমাকে সমগ্রদান
শুনিয়াছি আমি তাহার---
বিধাতা তার নাম।
আল্লাহ্, খোদা, পরম স্রষ্টা- যে নামে ডাকো
তিনিই মালিক এক; বিশ্বজাহানের অধিপতি, পবিত্র আলো।
এমনি মনে প্রশ্ন জাগে---
বলো; কেমন করে পাই তারে?
পৃথিবীতে এসেছে যত মানব সন্তান
তাহারা সবাই কি দিয়াছে ঐ প্রভুর সম্মান?
খুঁজিয়াছে কি তবে পৃথিবী ঘুরিয়া
সন্তুষ্টির জন্য করিয়াছে কী?
নাকী; ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকিয়া
বাড়াইয়াছে শুধু ঋণী।
করিয়াছে কী প্রেরণ ঐ স্রষ্টার কাছে?
আশ্রয় চাহিয়াছে কে বল ঐ দানবের কাছ থেকে?
হে মহান অধিপতি; তোমাকে আমি খুজিয়াছি---
জগতের সর্বময় ধরি,
পাই নি খুঁজে কোনোখানে
পাবো বলো তোমায়ে কী করি?
একদা জ্ঞানী লোক এসে
বললো আমার সনে,
বকসো; চেয়ে দেখো আপনার দিকে
সৃষ্টিকর্তার নিপুণতা বিরাজ করিতেছে।
কে বলে নাই কোনোখানে?
আছে তোমার অন্তর জুড়ে
মনের অজানা কথা শুনছে সে
চাও তুমি নিরবে, অন্ধকারে চুপিসারে, পবিত্র অন্তরে
পাইবে তুমি রোজ হাশরের দিনে
এমন বিশ্বাস আছে যে জনের।
কবি: আঁধার মনির
৮ জুন ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস