আবু এন এম ওয়াহিদ: বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদকে একবার প্রশড়ব করা হয়েছিল, তিনি কী করে এত এত লিখেন, এতে কি তার কষ্ট হয় না? বিরক্তি আসে না? জবাবে হুমায়ূন আহমেদ যে কথা বলেছিলেন, সে বয়ান যদি আমার মুখে শুনেন, তা হলে এ রকম দাঁড়াবে। হাট-বাজার, রানড়বা-বানড়বা বাদ দিলেও, শুধু খাওয়াটাই একটি কঠিন কাজ। খাদ্য সামগ্রী মুখে পুরতে হয়, সাবধানে চিবাতে হয়, নিরাপদে গিলতে হয়। লোকমার সঙ্গে যদি ইলিশ কিংবা চিতল মাছের কাঁটা অথবা গরু ছাগলের হাড্ডির ছোট্ট ভগড়বাংশ থাকে, তা হলে কাজটা নিঃসন্দেহে আরো জটিল ও কঠিন হয়ে যায়, কিন্তু তাই বলে কি খেতে কারো কষ্ট হয়, বিরক্তি আসে, খাওয়া দাওয়ায় কি কেউ কখনো অনীহা প্রকাশ করে? না, তা করে না। কারণ মহান আল্লাহ্ আমাদের জিহ্বায় ‘টেইস্ট বাড’ দিয়েছেন, তাই যত কষ্টই হউক না কেন, খেতে আমাদের মজা লাগে, খাওয়ায় আমরা আনন্দ পাই, এবং মনেপ্রাণে তা উপভোগ করি। একইভাবে লেখালেখি যেহেতু হুমায়ূন আহমেদ খুবই এনজয় করতেন, তাই লিখতে তার কোনো কষ্ট হত না, বিরক্তিও আসত না, বরং সৃষ্টির আনন্দে লেখাকে তিনি দারুনভাবে উপভোগ করতেন, এবং আজীবন করে গেছেন।
নিজেকে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তুলনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই, তবে তাঁর সাথে এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি একমত নই, আবার দ্বিমতই বা পোষণ করি কী করে? টুকটাক যাই লিখি, লিখতে গেলে আমার কষ্ট হয়। দিন নেই, রাত নেই, কম্পিউটারের সামনে উঁচা চেয়ারে বসে ¯িঙঊনের ওপর চোখ রেখে অনবরত কীবোর্ডে আঙুল চালাতে হয়, বারে বারে মাউস ক্লিক করতে হয়। একটা একটা করে শব্দ চিন্তা করে করে মাথা থেকে টেনে বের করে আনতে হয়। কষ্ট হয় বৈ কি, বিরক্তিও আসে, তবে যখন একটি সৃষ্টিশীল সুন্দর লেখা শেষ করে আনি, তখন মনে আনন্দের যে বন্যা বয়ে যায়, তাতে দুঃখ-কষ্টের লেশমাত্রও কাছে ধারে ঘেঁষতে পারে না। মা যখন নবজাত সন্তানের মুখ দেখে তখন কি প্রসব বেদনার কথা মনে থাকে? মোটেও না। আমার লেখা যখন শেষ হয়, কষ্ট তখন পালিয়ে বাঁচে। আর এ আনন্দ আমি যখন আপনাদের সাথে শেয়ার করি, তখন সেটা বেড়ে যায় বহুগুণ। তাই লেখার আনন্দ শুধু লেখকের একার নয়, এর সাথে পাঠকরাও জড়িয়ে যায় ওতপ্রোতভাবে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে যেমন ‘স্টুডেন্টস ম্যাটার মৌস্ট’, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে ‘কাস্টমারস ম্যাটার মৌস্ট’ তেমনি একজন লেখকের কাছে, ‘রিডারস ম্যাটার মৌস্ট’।
লেখালেখি নিয়ে বিড়ম্বনা আছে, সমস্যারও অন্ত নেই। আজ লিখতে গিয়ে সারাটা দিন খোঁজাখুঁজি করেও কোনো যুতসই টপিক পাচ্ছিলাম না, রাত সাড়ে দশটায় এসে ঠিক করলাম, বিষয় যখন কিছু
নেই, তা হলে লেখালেখি নিয়েই লিখি। একা একা বসে কয়েক মিনিট আমার বাংলা লেখালেখির ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। তাতে যে সব তথ্য বেরিয়ে আসল, তা আমার জন্য একেবারেই সুখকর নয়। আপনারা শুনলে রীতিমত হাসবেন। উনিশ শ’ একষট্টি-বাষট্টির কথা, আমি তখন ক্লাস টু অথবা থ্রিতে পড়ি। আমাদের বাংলা বইয়ে একটি গল্প ছিল, ‘বাঘ ও বক’। মাংস খেতে গিয়ে বাঘের গলায় হাড্ডি আটকে গেল। সেটা বের করে আনার জন্য বাঘ গেল বকের কাছে। গিয়ে বলল, ‘বক ভাই আমার গলায় হাড় বিঁধেছে। তোমার লম্বা ঠোঁটখানা আমার মুখের ভেতর ঢুকিয়ে যদি হাড্ডিটা বের করে আনতে পার, তা হলে তোমাকে আমি অনেকগুলো মাছ দেব’। এর বেশি বলার প্রয়োজন নাই, কারণ গল্পটি সবারই জানা। ষান্মাসিক কিংবা বার্ষিক পরীক্ষায় আমাদেরকে ওই গল্পটি লিখতে হয়েছিল। আমি যা লিখেছিলাম তার মধ্যে বর্ণির নুরুদ্দিন মাস্টার সাহেবের পক্ষে একটি মাত্র বাক্যের পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়েছিল। আর তা ছিল, ‘‘বল ভাই আমার গলাত তবা’’। আমার ক্লাসমেইট আব্দুল মতিন দেখা হলে এখনো ‘‘বল ভাই আমার গলাত তবা’’ বলে আমাকে খ্যাপায়। এখানে বলে রাখি, চতুর্থ শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠার সময় আমি তিনজনের মধ্যে তিন নম্বর হয়েছিলাম। প্রথম হয়েছিল আব্দুল মতিন, এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল নুরুল ইসলাম নামে আমাদের আরেক বন্ধু। আফসোস্! আমাদের শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার কারণে আব্দুল মতিন এবং নুরুল ইসলাম হাই স্কুলের চৌকাঠ পেরিয়েছিল বটে, কিন্তু কলেজের দোরগোড়ায়ও পৌঁছাতে পারেনি। সেকেন্ড ডিভিশনে ম্যাট্রিক পাশ করে আব্দুল মতিন সারা জীবন বেকারই কাটাল। নুরুল ইসলাম বহুদিন ইউনিয়ন পরিষদের সেক্রেটারি ছিল। মাত্র সেদিন রিটায়ার করেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের ক্লার্ক হিসেবে।
তারপরের কাহিনী শুনবেন? সেটা আরো উচ্চমার্গের এবং আরো মজার! উনিশ শ’ আটাত্তর সালের কথা। হাইস্কুল, কলেজ, ইত্যাদি শেষ করে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের লেকচারার। সাড়ে চার শ’ অথবা সাড়ে পাঁচ শ’ টাকা স্কেলের চাকরি। নিজের এক পেট চালিয়ে মা বাবার হাতে যা তুলে দিতে পারতাম তা একেবারেই যৎসামান্য। সে বাংলাদেশ আর আজকের এ বাংলাদেশ এক নয়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য উপরি আয়ের তেমন কোনো সুযোগই ছিল না। গভর্ণমেন্ট অ্যান্ড পলিটিক্স ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক আজিজুল হক স্যার তখন এক নম্বর হলের (ওই সময় হলটির নাম ‘আল বেরুনী’ হয়ে গেছে অথবা কিছুদিন পরেই হবে) প্রভোস্ট। তাঁকে বলে কয়ে হলের অ্যাসিস্টেন্ট হাউসটিউটার হলাম। এতে করে বাড়ি ভাড়া এবং এলাউন্স বাবদ চার/পাঁচ শ’ টাকা বাড়তি পাওয়া যেত। ওই সময়ে এক দিন মাগরিবের পর ছাত্রদের খাওয়া দাওয়ার সমস্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে মিটিং বসল হলের খাবার ঘরে। মিটিংয়ে প্রভোস্ট উপস্থিত। আরো ছিলেন সিনিয়র হাউসটিউটার মীর্জা মোজাম্মেল হক স্যার। মিটিংয়ের রেজোলিউশনগুলো
আমাকে লিখতে বলা হল। মোজাম্মেল স্যার বাংলায় ডিকটেশন দিলেন, আমি লিখলাম সর্বসাকুল্যে এক পৃষ্ঠা। মিটিং শেষে ছাত্ররা চলে গেল। ডাইনিং হলে বসা আমরা মাত্র তিনজন। মোজাম্মেল স্যার বললেন পড় তো কী লিখেছ। আমি গড় গড় করে পড়ে গেলাম। স্যার খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং বললেন, ‘‘তোমার ভাষা তো একেবারে গুরুচন্ডালী মার্কা হয়ে গেছে’’!
এর পর কেটে গেছে আরো তিরিশ বছর। মা এবং স্ত্রীর কাছে হাতে গোনা কয়েক খানা চিঠি ছাড়া বাংলা লেখার আর কোনো সুযোগ হয়নি। বাবা এবং শ্বশুরের কাছে ইংরেজিতেই লিখতাম। দুই হাজার সাত সালে ঢাকার বাংলা কাগজের জন্য কলাম লিখতে শুরু করলাম। দুঃসাহস আর কাকে বলে! তারই ধারাবাহিকতায়ই আমার আজকের এই লেখালেখি। এবার আমার গুরুচন্ডালী ভাষায় উত্তরণ হয়েছে কি না সে বিচারের ভার আপনাদের ওপরই রইল। ইতিমধ্যে মোজাম্মেল স্যারের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে সামান্য একটু বলে নেই, হয়তবা তরুণ বয়সের জন্য ওই সময় স্যারের কথা খুব একটা গায়ে মাখিনি, কিন্তু এমএ পাশ করার পরও আমার বাংলা ভাষার করুণ দশার কথা এখন যখন মনে পড়ে, তখন হাসব না কাঁদব, নিজেই ভেবে পাই না!
এখন আমার বাংলা ভাষাবোধ যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, আমি যা দেখি, সে আরো পুরনো ভিনড়ব এক উপসর্গ - বানানে গুরুতর সমস্যা। পত্রিকাগুলো আমার লেখা ছাপানোর আগে ভুল বানান ঠিক করে নেয়। কিন্তু পরনির্ভর হয়ে তো আর লেখালেখি চলে না। শুদ্ধ বানানের জন্য যোগাড় করলাম বাংলা একাডেমীর বড় ডিকশোনারিটি, সঙ্গে ইংলিশ টু বেঙ্গলি আরেকটি। এবার ভুল বানানের পরিমাণ কমে এল বটে, কিন্তু ষোল আনা সহি করা গেল না। আমার বানান-দূুর্বলতা নিয়ে বন্ধু মাহবুবের সঙ্গে একদিন আলাপ করছি। মাহবুব বলল, ‘তোর হাতের কাছে ডিকশোনারি থাকতে বানান ভুল হবে কেন’। মাহবুবের কথায় আমি কতক্ষণ বুক ফাটিয়ে হাসলাম, তারপর বললাম, ‘‘ওরে আমার বন্ধুরে, তুই কি জানিস, বানান যদি শতভাগ শুদ্ধ করতে হয়, তাহলে আমাকে প্রায় প্রতিটি শব্দের জন্য বারো শ’ পৃষ্ঠা বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতেই সময় চলে যাবে, লিখব কখন’’? মাহবুবের জায়গায় আমি হলে বলতাম, ‘‘তা হলে লেখা বাদ দে,’’ কিন্তু বন্ধুটি আমার অতি হৃদয়বান। সে তা বলল না। এ দিকে সমস্যা তো রয়েই গেল, কারণ যে সব শব্দে সন্দেহ হয়, আর দশ পাঁচ জনের মত আমিও শুধু সেগুলো লিখতেই ডিকশোনারি এস্তেমাল করি, কিন্তু আমার সন্দেহের ছাঁকনিতে যেগুলো ধরা পড়ে না, সমস্যাটা তো তাদের নিয়ে। আবার কিছু শব্দ ডিকশোনারিতেও পাওয়া যায় না। সেগুলোকে ছেটে ফেলতে হয়, সেটা আবার অন্য সমস্যার জন্ম দেয়। আমার লেখালেখি জীবনে এ বিড়ম্বনা কবে কাটিয়ে উঠতে পারব, আল্লাহই মালুম।
আমার সাহিত্য চর্চার সবচেয়ে বড় এবং কঠিন আমার স্ত্রী। এবার শুনুন সে কাহিনী। ‘যে দেখা দেখা নয় তাই দেখতে চাই’ শিরোনামে চাঁদের ওপর সম্প্রতি একটি লেখা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কারো কারো কাছে লেখাটি ভাল লেগেছে, কেউ আবার মূল্যবান কন্সট্রাকটিভ সাজেশন দিয়েছেন। কেউ ফোন করে ধন্যবাদ দিয়েছেন। আমার গিনিড়ব এ সব ওভারহিয়ার করে বললেন, ‘‘কী লিখেছ আমাকে একটু দেখাও তো’’। পরিণতি কী হতে পারে তা আমি জানতাম, তবু তাঁর পীড়াপীড়িতে পড়তে দিলাম। আধা পৃষ্ঠা পড়েই তিনি বললেন, ‘‘বিসমিল্লাহতেই গলদ, চাঁদের আলো সোনালী হয় না, চাঁদের আলো রূপালী, সূর্যের আলো সোনালী হয়’’। উষ্ণতা ছাড়াও, চান্দ-সুরুজের আলোর মাঝে যে একটি সাট্ল ডিফারেন্স আছে, তা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আমার স্ত্রীর কাছে নিঃসন্ধেহে আমি কৃতজ্ঞ, কিন্তু তিনি সেখানেই থামেননি, আরো কিছু কথা বললেন, আমাকে বোঝালেন, মূল্যবান কিছু উপদেশ দিলেন। আমি ধৈর্য ধরে গিনিড়বর সব কথা মানলাম, সব উপদেশ শুনলাম। তাঁর কথামত চাঁদকে স্বর্ণের বদলে রৌপ্য দিয়ে মুড়েও দিলাম, কিন্তু তিনি কতখানি খুশি হলেন তা বুঝতে পারলাম না! আর এ না বোঝাটাই লেখালেখির আসল মজা! মজা হউক বা না হউক, স্ত্রীর নিরঙ্কুশ প্রশংসা পাওয়া এ জগতে বড়ই কঠিন! জীবনে অনেক সফল সুপুরুষের ভাগ্যেও তা জোটে না! তার অন্তত একটি যৌক্তিক কারণও আছে। স্ত্রীর কাছে পুরুষের কোনো দুর্বলতাই লুকানো থাকে না, এবং সে তার স্বামীকে যত কাছে থেকে যত নিখুঁতভাবে দেখে এবং জানে, একমাত্র আ’লেম-উল গায়েব আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে সেটা সম্ভবই নয়! স্বামীর ত্রুটি-বিচ্যুতি যেহেতু স্ত্রীর আড়ালে থাকে না, তাই ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শোধরে দেওয়াটা তার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। যে স্ত্রী এত কিছু করে, তার কথা লিখতে গেলে অতিরিক্ত যতড়ব নেওয়া জরুরি নয় কি! নিশ্চয়ই জরুরি! আর এ জন্য আমি এই প্যারাগ্রাফটি কমছে কম তেরোবার রিভাইজ করেছি! ভাবছি, আরেকবার করব কিনা, কারণ নাম্বারটা যদি সত্যি সত্যি আনলাকি হয়ে যায়!
এখন আসি অন্য প্রসঙ্গে, অনেক সময় আমি লেখার কোনো টপিক খুঁজে পাই না। পাব কী করে? লিখতে গেলে তো পড়তে হয়, অনেক পড়তে হয়। আর এভাবে কেতাব পড়ে যে সব লেখক এলেম হাসিল করে, তাদের মাথায়ই লেখার তথ্য উপাত্ত এসে হামেশা কিলবিল করে। আমার মত বিদ্যা বিমুখ লেখকের জন্য বিষয়বস্তুর খরা যাবে না তো কার জন্য যাবে! এত সব জেনেশুনেও আমি পড়তে চাই না, পড়ি না। বলুন তো, কত আর পড়া যায়! পড়তে পড়তে তো ষাট বছর পার করে দিলাম! তবে পড়ায় অরুচি হলেও দেখা শোনায় আমার আগ্রহ মোটেও কমেনি, বরং বেড়েছে বলতে পারি। আমি যা-ই দেখি, গভীর কৌতূহল নিয়ে দেখি, তীক্ষড়ব দৃষ্টি ফেলে দেখি, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি। আমি যা শুনি, খুব মনোযোগ দিয়ে শুনি, হৃদয়-মন দিয়ে শুনি। যা-ই শুনি বা দেখি ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করি, আন্তরিকভাবে আত্মস্থ করতে কসুর করি না। তার ওপর চিন্তা করি, যে কোনো
বিষয়ের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি। যা লিখি এর ওপর ভরসা করেই লিখি, এবং যা লিখি তা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হই। এবার আসল কথায় আসি। আজ তো আমার পান্ডিত্যের জারিজুরি সব ফাঁস হয়ে গেল। সব শেষে ভয়ে ভয়ে আপনাদের প্রতি একটি প্রশড়ব রেখে বিদায় নিচ্ছি। আমার মত আনাড়ি লেখকের লেখা কি আর পড়বেন?
লেখক: আবু এন. এম. ওয়াহিদ; অধ্যাপক - টেনেসী স্টেইট ইউনিভার্সিটি
এডিটর - জার্নাল অফ ডেভোলাপিং এরিয়াজ।
৯ এপ্রিল, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস