অবন্তিকা,
সুবর্ণরেখার ধার ঘেঁষে আমি যতোবার বাড়িয়েছি হাত
তুমি কেঁপেছো শঙ্কায়, আলেয়ার আশপাশে ঠিকানা ভেবেছো বলে
আমার অহং এর রঙ ধুয়ে মুছে যায়, তবু ছায়া ও আমির
জন্য তোমার রোদ্দুরে ডুবে ডুবে থাকি, আর চলে যাবার আগে
ঠিক সন্ধ্যাকালে তুমি মালতীর মত হাসতেই এসমস্ত আড়ালের
মাখামাখি নিয়ে আরও খানিক কুঁকড়ে যাই রোদ চেখে চেখে
ক্লান্ত আমাদের মাঝামাঝি ঢেউগুলোর ভিতর, কৃষ্ণের ময়ূরপঙ্খ
আটকে পরে পুঙ্খানুপুঙ্খ অতিনিয়মে।
যদিও তাবৎ মরশুম শীতের নয়, হিমের নয়, তবু কেন সব
সংস্কারের আড়ালে এভাবে চাদর মুড়ি দিয়ে গুটিয়ে থাকে বিজ্ঞান!
খই উড়ছে, আগুনের ঘুড়ি, এগিয়ে আসছে কথা না বলা ভবিষ্যৎ,
একাকীত্বের দিন, আমরাও কি তৈরী হচ্ছি খুব!
শোনো, গা ভর্তি হামি হামি গন্ধমাখা শিশুর
লাল নীল প্লাস্টিক বল তোমাকে দেবো, নেবে? কিশোরের
কাঠি ডাঁটি নারকেল পাতার চশমা, বোম্বেটে লাটিমের
ঘূর্ণি, জোনাকির পিছে ছুটে যাওয়া আহ্লাদও দেবো, নাও।
সদ্যজাত, তখনো গোলাপি ঠোঁট ছুঁয়ে ঘুরতে থাকা নিকোটিন
ফিল্টারের অংশবিশেষ। দিতে চাই এক বয়সে ঘাসের দানায় টপ্পা
লিখেছি যতো, আকাশজুড়ে তারার কোলাজ, নাভির কাছেই
ইন্দ্রজালিক বিস্ময়, আঁচলে দেব বৈশাখ কুচি, বর্ষাবাদল,
টুপুর ফোটা, আঁশটে শরীর, ঘামে ভেজা এক্সপ্রেস বুক-ধোয়া
স্নানঘরের গান, তেমন কান্না শুনে ঝাঁঝরা রাত, উন্মাদিনীর
দেহ নিংরে অগ্নিফুলের তোড়া, রাইজলে ডোবা ফুর্তিমাখা ফড়িঙের
একটা ঝাঁক যদি দেই?
তোমাকেই শুধু-
হীরে মানিক হয়তো নয়, তবু, এখনো আমি বহু কিছু
দিতে পারি, জেনো, এর চেয়ে বেশী আজও পারেনি মানুষ।
নেবে?
৪জুন, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন