মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯, ০৪:২১:০১

গভীর সাগরে ‘সোনার শহর’!

গভীর সাগরে ‘সোনার শহর’!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনের এক মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সমুদ্রে। হঠাৎই তিনি খুঁজে পেলেন একটা নোঙর। অন্য সময় হলে হয়ত সেটিকে আবার সমুদ্রেই ফেলে দিতেন। কিন্তু দেখে সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে করে নিয়ে এলেন। আর এই নোঙর থেকেই জানা গেল চমকপ্রদ সব তথ্য।

গবেষকরা জানালেন, ১৭০০ শতকের নোঙর এটি। আর যে জাহাজের নোঙর এটি সেটিতে মহামূল্যবান যে সামগ্রী ছিল, যার মোট অর্থ প্রায় ১০০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড। কুঠারের মতো দেখতে নোঙরটি ব্রিটেনের কর্নওয়াল থেকে ২০ মাইল দক্ষিণে একটি মাছ ধরার নৌকার জালে আটকা পড়েছিল। এই নোঙরটি ছিল মার্চেন্ট রয়্যালের।

১৬৪১ সালে জাহাজটি ডুবে যায় সমুদ্রে। আটলান্টিক সাগরে ডুবে যাওয়া সেই জাহাজে প্রায় ৪৬ হাজার কিলোগ্রাম সোনা ছিল। এত সোনা থাকায় একে বলা হত ‘সমুদ্রের এল ডোরাডো বা সোনার শহর’। জাহাজটি মেক্সিকো থেকে ব্রিটেনে ফেরার পথে সিলি দ্বীপের কাছে ঝড়বৃষ্টির সময় ডুবে গিয়েছিল। কিন্তু এটা যে সেই জাহাজেরই নোঙর সেটা কী ভাবে জানা গেল? আকৃতি ও মাপ দেখেই বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন এটির বিষয়ে।

এই বিশাল পরিমাণ সোনা ও রুপা খুঁজতে গিয়ে অসংখ্য ডুবুরি হয়রান হয়েছেন। মারাও গেছেন কেউ কেউ। নোঙর মেলায় সেই জাহাজডুবির জায়গাটিকে চিহ্নিত করা গেল বলেই মনে করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। এদিকে, নোঙরটিকে সংরক্ষণের কাজ করছেন মিলবার্ন নামে এক ব্যক্তি। নোঙর নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি শুরু হয়েছে শখের ডুবুরিদের ‘সোনার শহর’ খোঁজার কাজও।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে