পাঠকই লেখক ডেস্ক : স্বামী আগেই ঘুমিয়ে পড়ে ছিল। স্ত্রী ঘুমানোর জন্য চুল বাঁধছিল। জানালারও পাশে রাত এগারোটার অন্ধকার।খুলনাগামি মেইলটা একটু আগে হুইসেল বাজিয়ে চলে গেছে। বাইরে তুমুল বৃষ্টি। এমন সময় কলিংবেল বাজল।
অবাক হয়ে দরজার দিকে তাকাল। পোড়াদহ জেলা বা থানা শহর নয়। নিতান্ত বাজার এলাকা। এখানে বৃষ্টির দিনে রাত এগারোটায় কারো অতিথি আসেনা। দ্বিতীয়বার বেলবাজলে শিউ স্বামীর মুখের দিকে তাকাল।
সারাদিন অফিসে কলম পিষে বেচারা এখন ঘুমে কাদা। একটু আগে শুয়েছে। মুখের উপর দুধের সরের মত পাতলা একটা ঘুমের পর্দা। স্বামীকে জাগাতে মন চাইল না শিউয়ের। আবার এতরাতে দরজা খুলতেও ভয় ভয় লাগছে।
যদি চোর বা ডাকাত হয়?
পরক্ষণে ভাবল এই এলাকায় অমন ঘটনা খুব একটা ঘটেনা। ডাকাত পড়ার মত অভিজাত বাড়িনয় তাদের। শিউয়ের স্বামী রেলের মধ্যম সারির কর্মচারী। দুইরুমের ছোটবাসা। একটাকিচেন, একটা কমনবাথ রুম। ডাইনিং নেই। কিচেনের ফ্লোরে পাটিপেড়ে খাওয়া দাওয়া চলে। বাচ্চাকাচ্চার হাঙ্গামা এখনো হয়নি। তৃতীয়বার বেলবাজতে বেশ খানিকটা সময় নিল। বাইরের আগন্তুক বোধ হয় এলেবেলে টাইপের ভদ্রলোক। নিজে বৃষ্টিতে ভিজে শিউদের সময় নিয়ে দরজা খোলার সুযোগ দিচ্ছে। শেষবারের মত একটু ভেবে দরজার দিকে এগিয়ে গেল শিউ। বাইরে তখনো বাজপড়ার শব্দ হচ্ছে। দরজা খোলার সাথে সাথে বিদ্যুৎচমকাল। বিদ্যুতের আলোয় শিউ দেখল অপরিসীম
রূপবতী একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
পটলচেরা চোখ, ধারাল নাক। আপেলের মত মসৃণ গাল। হাসলে বোধ হয় টোল পড়ে। গায়ের জামাটা আধভেজা। একগোছা অবাধ্যচুলক পালের উপর এসে মেয়েটির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়েছে। মেয়েটাকে শিউ চেনেনা। তবে সঙ্গের ভারি ট্রলি দেখে বুঝল মেয়েটা বেশদূর থেকেএসেছে। কি করবে শিউ বুঝতে পারছেনা।
অচেনা মানুষকে হুট করে রাতের বেলা বাড়ি তোলা যায়না আবার মেয়েটার চেহারায় এমন আভিজাত্য আছে একে বাইরে দাঁড়করিয়েও রাখা যায়না। একটু ভেবে শিউ বলল, আসুন, ভেতরে আসুন। শিউ দরজা থেকে সরে দাঁড়াল। মেয়েটা ট্রলি ঠেলে ভেতরে ঢুকল। শিউ ওকে দ্বিতীয় ঘরে বসতে দিয়ে বলল, আপনাকে ঠিকচিনতে পারিনি। মেয়েটাবলল, আমাকে চেনার কথা না। আমি নিমকি। বিপদে পড়ে আপনাদের বিরক্ত করতে এসেছি। - বিপদটা কেমন?
- আমি যাব ছুটিপুরে। ওখানকার এক প্রাইমারি স্কুলে আগামীকাল জয়েন করার কথা। সন্ধের ভেতর পৌঁছে যাবার আশা ছিল। কিন্তু আজকের ট্রেন খুব লেট করেছে। তবুএকটা রিকশা হয়ত রাজি করাতে পারতাম। কিন্তু গোল বাঁধাল বৃষ্টি। আপনাদের বুঝি খুব অসুবিধায় ফেললাম? শেষের দিকে নিমকির গলানুয়ে পড়ল। শিউ বলল, মাত্রতো একটা রাত, কোন অসুবিধা হবেনা।
- আপনাকে ধন্যবাদ।
- আপনার বাসা?
- রাজশাহী।
- এখন রাজশাহী থেকে এলেন বুঝি?
- হু। আপনি নিশ্চয় একা থাকেন না?
- আমি আর আমার স্বামী থাকি। ও ঘুমুচ্ছে। কাল সকালে পরিচয় হবে। ওম্মা আপনার জামাতো ভেজা। শাড়ি দিব, পরবেন?
- নানা ট্রলিতে আমার কাপড় আছে।
- ঠিক আছে আপনি কাপড় পাল্টে নিন। আমি জলখাবারের ব্যবস্থা করি।
নিমকি শিউয়ের হাত চেপে ধরে বলল, ওসব লাগবেনা ভাই। দয়াকরে থাকতে দিয়েছেন এই অনেক। খুব ভোরে আমি চলে যাব।
শিউ বলল, ফরমালিটি একটু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না? আমি আপনার বাসায় গেলে কি খালি পেটে রাখতেন?
এর উপর আর কথা নেই। নিমকিকে চুপ করতে হল।
স্বামী -স্ত্রী খাওয়ার পর কিছু ভাত বেচে ছিল। রাইচ কুকারে গরম করে শিউ ডিম ভাজতে বসল। ততক্ষণে নিমকি কাপড় বদলে রান্না ঘরে চলে এসেছে।
খুব ভয় পাচ্ছিলাম, না জানি বাসার মানুষ গুলো কেমন হয়।
শিউ হাসি টেনে বলল, কেমনহল, খুব খারাপ?
- খারাপ হলে আপনার রান্না ঘরে ঢুকতে পারতাম?
দুজন একসাথে হেসে উঠল।
হাসি থামিয়ে শিউ বলল, বিয়ে করেছেন? নিমকি একটু লজ্জা পেল। কুমারী মেয়ের সামনে হঠাৎ বিয়ের কথা পাড়লে যেমন লজ্জা পায় তেমন।
নিমকি মুখটা পাকা করম চার মত লাল করে বলল, উহু।
- পছন্দের কেউ নেই?
- উহু।
- আমার কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছেনা।
-কেন ভাই?
-আপনার যা আগুন চেহারা! এমন মেয়ে একা থাকবে বিশ্বাস করা মুশকিল।
নিমকি এই বিষয়ে আর কথা বলল না।
বিছানায় শুয়ে আকাশ পাতাল ভাবতে লাগল নিমকি। সকালেও সে বাবা-মার কাছে ছিল। এখন কোথায়? কাল সকালে যোগ দিতে হবে চাকরিতে। সেখান কার পরিবেশ কেমন হবে কে জানে।
দুশ্চিন্তায় সে চোখের পাতা এক করতে পারছে না। হঠাৎ তানজির কথা মনে পড়ল। এমন হয়। খুব দুশ্চিন্তার সময় কিভাবে যেন তানজি হাজির হয়ে যায়। ছেলেটা এখন কোথায় আছে নিমকির জানা নেই। তবে এতটুকু জানে তানজি কুষ্টিয়ার এই অঞ্চল টায় কি এক চাকরি নিয়ে আছে।
কলেজ জীবনের প্রথম দিকে তানজি আর নিমকি সেরেফ বন্ধু ছিল। খুব ভাল বন্ধু। কলেজের অসংখ্য ছেলের মাঝে তানজি আলাদা ভাবে সবার। নজরকাড়ত, ওর উচ্চতা ছিলছ'ফুটের কাছাকাছি, মাথা ভর্তি ঘনচুল। নীল
টি-শার্ট অথবা গেঞ্জি পরত। নীল ছিল ওর প্রিয়। কলেজের সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃত্ব দিত। আর পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কবিতা লিখত। আজিজ সুপারমার্কেট থেকে প্রকাশিত লিটলম্যাগে ওর কবিতা ছাপা হত। মাঝে মাাঝে দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীতে। তানজির সব কবিতার প্রথম পাঠক ছিল নিমকি। ছাপা হওয়ার আগে।
কখনো তানজি আবৃত্তি করে শোনাত। কখনো নিমকি নিজে পড়ত। হঠাৎ একদিন কি এক ভূত চাপল তানজির মাথায়। নিমকিকে নিয়ে একটা রোমান্টিক কবিতা লিখে ফেলল। সেই কবিতা ছাপা হওয়ার সাথে সাথে হইচই পড়ে গেল কলেজে। বন্ধুরা ক্ষ্যাপাতে শুরু করল। ভাল লাগা যাই থাক বন্ধুদের উস্কানি পেয়ে দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে গেল। তানজিরের কথা ভাবতে ভাবতে নিমকি ঘুমিয়ে পড়ল। লাইট জ্বালা রইল। শেষ রাতে বাথরুম করতে উঠল শিউয়ের স্বামী। দ্বিতীয় ঘরে আলো জ্বলছে দেখে সে অবাক হল। বাসায় তারা দুজন মানুষ। ওঘরে আলো জ্বলার কথা না। অতিথি এলে ভিন্ন কথা। তাদের তো কোন অতিথি আসেনি। সে ভেজানো দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল। একই সাথে বিব্রত এবং বিস্মিত হল। রূপবতী একটা মেয়ে জিঞ্জাসা চিহ্ন হয়ে শুয়ে আছে বিছানায় ।মেয়েটাকে কেমন চেনা চেনা মনে হচ্ছে কিন্তু চেনা যাচ্ছে না। ঘুমালে মেয়েদের মুখের আদল খানিকটা বদলে যায়। বদলে যাওয়া আদল সরিয়ে পুরনো ছবিসহ জেধরা পড়ে না। সে আরেকটু এগিয়ে মেয়েটার মুখের উপর ঝুকল। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘুম ভেঙে গেল নিমকির। ঘুমভেঙেই যদি দেখা যায় মুখের উপর ঝুকে আছে সুগঠিত পুরুষালি মুখ—কেমন লাগে?
নিমকির তেমন লাগল। কোন কিছুনা ভেবেই সে চিৎকার করে উঠল। বেচারা স্বামী এর থেকে বেশি বিব্রত বোধ হয় আর কোন দিন হয়নি। সে তাড়াতাড়ি দুই পা পিছিয়ে এল। নিমকি ততক্ষণে সামলে নিয়েছে।
এবার শিউয়ের স্বামীর দিকে তাকিয়ে সে আর্তনাদ করে উঠল—তানজিতুমি!
তানজিও বিস্ময় নিয়ে বলল, নিমকি তুমি এখানে! কিভাবে?
ধাক্কা সামলে নিয়ে নিমকি ফুপিয়ে কাঁদতে লাগল।
তানজির অত ধৈর্য নেই। হাজারটা প্রশ্ন তাকে ক্রমাগত দংশন করছে। সে একই রকম বিস্মিত গলায় বলল, তুমি এখানে কিভাবে এলে?
নিমকি কান্না থামাল। ওড়নায় চোখ মুছে এখানে আসার কারণ বলল। মিনিট পাঁচেক পর উত্তেজনা কমল। তানজি নিমকির হাত ধরতে গেল। নিমকি সরিয়ে নিল।
তানজি ব্যাকুল গলায় বলল, কেন তুমি হারিয়ে গেলে নিমকি?
নিমকি হেরে যাওয়া সৈনিকের মত মাথা নিচু করল। আজ তানজির প্রশ্ন করার দিন।
তানজি আরো বেপরোয়া হয়ে বলল, কত খুঁজেছি তোমাকে। ঢাকার সব কলেজে। শেষে নিরুপায় হয়ে কলেজের রেজিস্টার খাতায় তোমার ঠিকানাবের করে ছুটে গেছি রাজশাহী। কিন্তু.....।
- তানজি এটা ছেলে মানুষির সময় নয়। পাশের ঘরে তোমার বউ ঘুমাচ্ছে।
- এটা ছেলে মানুষি নয়। শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সাত বছর তোমাকে খুঁজেছি। কেন তুমি ওভাবে হারিয়ে গেলে?
- আজ তোমাকে বলব। তোমাকে বলবার জন্য আমিও তোমাকে অনেক খুঁজেছি। খুঁজতে খুঁজতে এখানে এসেছি। কলেজের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে তুমি আমাকে রাজশাহীর ট্রেনে তুলে দিলে। একমাসের ছুটি। আমার খুব মন খারাপ। এতদিন তোমাকে না দেখে কিভাবে থাকব?
ওদিকে বাড়িতে তখন আমার জন্য এক নতুন বিস্ময় অপেক্ষা করছিল। জন্মেরপর থেকে যাদের কে আমি বাবা-মা ডেকে এসেছি তারা আমার আসল বাবা-মা নন। স্টেশনে তারা আমাকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। নিঃসন্তান ছিলেন বলে আমাকে পেলে ছিলেন। এটা শোনার পর মরে যেতে ইচ্ছা করছিল। বারবার মনে হচ্ছিল আমি কোন পাপের ফসল। আমি জানতাম এসব শোনার পরও তুমি আমাকে ফেরাতে না। কিন্ত পরিচয়হীন এই জীবন নিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াবার রুচি হয়নি তানজি।
সবশুনে কিছুক্ষণ গুম হয়ে রইল তানজি। তারপর থমথমে মুখে বলল, সেদিন আমার উপর তুমি ভরসা করতে পারনি তাই না?
নিমকি প্রতিবাদ করে বলল, ওভাবে বল না।
আমি জানতাম সব শুনে তুমি আমাকে আগের মতোই ভালবাসবে। কিন্তু আমিই এই ক্লেদাক্ত জীবনের সাথে তোমাকে জড়াতে চাইনি। আমাকে তুমি ভুল বুঝোনা, প্লিজ। একটু থেমে নিমকি বলল, তুমি আর কবিতা লেখ না?
- কলেজ জীবনেই বাদ দিয়ে দিয়েছি। স্বপ্ন ছিল কবি হওয়ার হলাম রেলের কর্মচারী।
- তোমার কবিতার লোভে রাজশাহীতে অনেক লিটলম্যাগ সংগ্রহ করেছি। কিন্তু পাইনি।
- কিই বা এমন লিখতাম।
- বিয়ে করেছ কত দিন?
- তিন বছর।
- তোমার বউটা খুব ভাল। অচেনা একটা মেয়েকে কেমন আপন করেনিয়েছে।
- তুমি বিয়ে করনি?
প্রশ্নটা করতে গিয়ে তানজির গলা একটু কাঁপল।
- সেটা আর হল কই?
রাত ফুরিয়ে যাচ্ছিল। শিউ টের পেয়ে যায় সেই ভয়ে তানজি বিদায় নিল।
খুব সকালে গুছিয়ে নিল নিমকি। এখনই বেরুতে হবে। রাতে কথা গুলো বলতে পারায় বেশ হালকা লাগছে। এরপর আর এখানে থাকা যায় না। ওদের অশান্তি হবে।
গোছানো দেখে শিউ বলল, এত তাড়া কিসের?
না খেয়ে যেতে দিচ্ছি নে।
নিমকি হাসতে হাসতে বলল, আচছাভাই খেয়েই যাব।
খাওয়ার পর নিমকি বিদায় নিল।
শিউ বলল, পাশেই তো থাকবেন। মাঝে মাঝে আসবেন। আর তানজি তুমি ওকে রিকশায় তুলে দিয়ে এসো।
রাস্তায় নেমে তানজি রিকশা ঠিক করছিল। নিমকি বাঁধা দিল।
— আমাকে রাজশাহীর ট্রেনে তুলে দাও। তানজি অবাক হয়ে বলল, তুমি না ছুটি পুরে যাবে? ওখানে তোমার চাকরি!
নিমকি করুণ চোখে তাঁকিয়ে বলল, যাব না।
- যাবেনা!
- ইস্কুলের চাকরিটা নিয়েছিলাম তোমাকে খুঁজতে। আমি জানতাম তুমি এদিকে কোথাও থাক। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাবে জানতাম না কোথায় থাক। এখানে থাকলে কোন না কোন ভাবে তোমার সাথে দেখা হবেই এই আশায় চাকরিটা নিয়ে ছিলাম।
তানজি বিধ্বস্ত গলায় বলল, এতদিন পর জীবন যখন বয়ে গেছে দুইমোহনায়, তখন তোমার সাথে দেখা না হওয়াই কি ভাল ছিল না!
নিমকি চোখের কোণা মুছে বলল, আমার কথাগুলো জানানোর জন্য দেখা হওয়ার দরকার ছিল। নইলে সারাজীবন তুমি আমাকে দোষী করে রাখতে।
নিমকি ট্রেনে উঠল। সিটে বসে জানালায় মুখ বের করে বলল, শিউকে নিয়ে রাজশাহী যেও। কলেজে থাকতে যে ঠিকানায় গিয়েছিলে সেখানেই আছি।
- কিন্তু সেই ঠিকানায় তোমাকে পাইনি যে সেদিন।
- আমি সবাইকে নিষেধ করেছিলাম।
ট্রেন নড়ে উঠলে তানজি নিমকির হাত ধরল। বলল, ভালথেকো।
নিমকিব লল, তুমিও।
ধীরে ধীরে যান্ত্রিক সরিসৃপটা ওদের হাতের বন্ধন খসিয়ে দিয়ে হারিয়ে গেল।
ফাঁকা প্লাটফর্মের দিকে তাঁকিয়ে তানজির মনেহল সে কলেজের দুর্দান্ত ছাত্র। কমলাপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। নিমকিকে রাজশাহীর ট্রেনে তুলে দিতে এসেছিল। ছুটি ফুরোলে এক মাস পর ফিরে আসবে নিমকি। পত্রিকা আফিসে কবিতা জমাদেয়ার পথে নিমকিকে রিসিভ করে নিয়ে যাবে। এই স্টেশন থেকে।
.
লেখক : রাজ রুপ