পাঠকই লেখক ডেস্ক : কি হল ? ফোন দিছ কেন ?
ও মা ! তোমাকে ফোন ও দেয়া যাবেনা ?
রাজকুমারী নাকি তুমি ?
হ্যাঁ । আমি রাজকুমারী ই । তোমার মত বাজে ছেলে যেন আমাকে কল না দেয়।
হেহেহে । তুমি জানো, রাজকুমারী দের মোবাইল থাকেনা ? তোমার ও তো তাইলে নাই । যার মোবাইল ই নাই, তারে আমি কেন কল দিমু ?
উফফ ! পাগল এর প্রলাপ শোনার কোন ইচ্ছা নাই আমার । কল কাটো এক্ষুনি।
কি বললা তুমি ?
কি বললা আমাকে ?
কি আবার বলবো ? তুমি যা তা ই বলছি , পাগল কোথাকার ।
তুমি, তুমি আমাকে পাগল বললা ?
হ্যাঁ বললাম, এতে অবাক হবার
কি আছে ?
তাই ? আরেকবার বল না গো?
এই প্রথম শোনলাম যে কোন পাগল চাইছে তাকে পাগল ডাকা হোক ।
হাহাহা ! আসল পাগল , একদম ফরমালিন বিহীন পাগল ।
উফফ !
তুমি তো আমাকে সত্যি সত্যি পাগল করে দিলা গো !
আরেহ ! তোমাকে আমি পাগল ডাকতেছি, কই তুমি রাগ করবা, এত খুশী হইতেছ কেন ?
তুমি জানো আমি রবি স্যারের ভক্ত ?
কোন রবি স্যার ?
আরে রবি ঠাকুর । আমার গুরু ।
অহ ! চিনি, তো ?
পাগল নিয়ে উনি কি বলছে জানো ?
কি আর বলবেন ? বলবে "যেখানে দেখিবে পাগল, সেখানেই ঢাল ড্রেনের জল" আসো, তোমার উপর ড্রেনের জল ঢেলে ধন্য হই ।
হিহিহি
নাহ উনি বলছে
’যে তোরে পাগল বলে, তারে তুই বলিসনে কিছু, কালকে প্রেমে আসবে নেমে,
করবে সে তার মাথা নিচু ।’
এখন তুমি ই বল, তোমার এত ভালোবাসা পাইয়া আমি খুশি না হইইয়া পারি ? বল না গো ?
আরেকটা বার পাগল বল না গো ?
কল কেটে গেছে । রাগকুমারী রাগ করলে বা লজ্জা পেলে কল কেটে ম্যেসেজ দেয়। আমি মেসেজের অপেক্ষা করছি। জানি সে ম্যাসেজ দিবে। একটু পর ম্যাসেজ আসল :-
’পাগল একটা ! এরকম পাগল ই থেকো সবসময় ।’
আমি ও পাগল থাকতে চাই তার জন্য সবসময় । আমার রাজকুমারী সে । আর
আমি তার পাগল হবো । আমি আমার রাজকুমারী কে ভালবেসে পাগল হয়েই থাকব , আর সে আমার রাজকুমারী হয়ে আমার পাগলামো সহ্য করেই যাবে ।
প্রতিটাক্ষণ পাগলামো তে তাকে রাগিয়ে তুলবো । সে রাগ করে অন্য রুমে চলে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে থাকবে ।
আমি তাকে ডাকবো না । মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থাকবো । সে কল দেবে অথবা ম্যাসেজ দিয়ে বলবে ভালোবাসি ।
লেখক : চৌধুরী আদি
০৪ জানুয়ারি ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসব