বিচিত্র জগৎ ডেস্ক : মেয়ের বিয়ের সময় জানিয়েছিলেন, সন্তান হলেই জয়নগরের একটি কমার্শিয়াল বিল্ডিং লিখে দেবেন মেয়ের নামে। কিন্তু সেই কথাই যে মেয়ের জীবনের বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে, সেটা বুঝতে পারেননি।
২০১০ সালে মানসা (নাম পরিবর্তিত) এবং রোহিতের (নাম পরিবর্তিত)। কিন্তু তারপর ৯ বছর কেটে গেলেও নিঃসন্তান দম্পতি। আর তাই জয়নগরের ওই সম্পত্তি হাতাতে মানসাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে চাপ দিতে শুরু করেছে। চলছে শারিরীক–মানসিক হেনস্থা।
এই কাজে রোহিতকে সাহায্য করছে তার বাড়ির লোকও। ইতিমধ্যে রোহিত এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ভারতের দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বাসাভানাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মানসা। অভিযোগে মানসা জানিয়েছে, বিয়ের সময় রোহিতকে তার বাবা ১০ কোটি মূল্যের সোনা, ১৫০ কেজি রুপো, একটি বিএমডব্লুউ গাড়ি দিয়েছিল।
এছাড়াও অন্যান্য যৌতুক তো ছিলই। শুধু তাই নয়, ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে বিয়ের অনুষ্ঠানও করেছিলেন বেশ ধুমধামে। বিয়ের প্রথম কয়েকমাস সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই যৌতুক এবং অন্যান্য সামগ্রীর জন্য মানসাকে হেনস্থা শুরু করে রোহিত ও তার বোন।
শেষপর্যন্ত জয়নগরের ওই বাড়ি থেকে ভাড়াবাবদ প্রাপ্ত ১ কোটি টাকাও রোহিতকে দিতে শুরু করেন মানসার বাবা। এভাবে ৬ বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়েও দেন। পাশাপাশি জানান, মানসার সন্তান হলে ওই সম্পত্তি তিনি মেয়ের নামে লিখে দেবেন।
এদিকে, শারীরিকভাবে রোহিতে সমস্যা থাকায় বিয়ের বহু বছর পরেও নিঃসন্তান থেকে যায় রোহিত–মানসা। এবার রোহিতের বাড়ির লোক মানসাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে জোর করে সঙ্গমে বাধ্য করতে থাকে। যাতে পুত্রবধূ মা হয় এবং তার বাবা ওই সম্পত্তি মেয়ের নামে লিখে দেয়।
এরপর রোহিতের বোনের বিয়ের পর, তার স্বামীর সঙ্গে মানসাকে সঙ্গম করতে বলা হয়। মানসা অস্বীকার করলে মারধরও করা হতে থাকে। বেশ কয়েকবার সেই চেষ্টা করে রোহিতের পরিবার। শেষপর্যন্ত মানসার মা–বাবা সত্যিটা জানতে পারেন। এরপরই থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র : আজকাল