পাঠকই লেখক ডেস্ক : চ্যাট অফ করে নিউজ ফিডে পোষ্ট পড়ার জন্য ব্যাস্ত আমি। হঠাত্ ইনবক্সে এক অপরিচিত মেয়ে নক করে...
'হাই ভাইয়া। আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টে জায়গা পেতে পারি?
[মেয়ের প্রোফাইল ঘেটে ৯০% নিশ্চিত হলাম ফেক আইডি না] "হুম' রিকুয়েস্ট দেন। একসেপ্ট করে নেব।
ধন্যবাদ ভাইয়া
১সপ্তাহ পর মেয়ে আবার নক করলো। হাই,হ্যালো হওয়ার পরে বলে দিলাম চ্যাটিংয়ে আমি তেমন ইন্টারেস্টেড না। মেয়ে মন খারাপ করার ইমো দিলো। সিন না করেই রেখে দিলাম।
কিছুদিন পর মেয়ে আবার নক করলো...
'ভাইয়া প্লিজ রিপ্লাই দেন। আমি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড হতে চাই।
বললেই কি বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়া যায় নাকি?
তো কি করা লাগবে আমার। শুধু একবার বলুন...
সেদিন কিছুই বলি নাই। তবে তার পর থেকে প্রতিদিন মেয়ের সাথে চ্যাটিংয়ে ব্যাস্ত থাকতাম। একসময় মেয়ের সাথে ভাল ফ্রেন্ডশীপ হয়ে গেলো। মেয়ে প্রতিদিন একটা করে নিজের পিক দিত। আইডির নামের সাথে পুরো পুরিই মিলে যায় "অপ্সরী"। কিছুটা দুর্বলতা কাজ করে ওর প্রতি কিন্তু বুঝতে দেই না।
ও একদিন হুট করেই ফোন নাম্বার চেয়ে বসে। মেয়েদের মত উওর দেই "দেওয়া যাবে না। যদি ডিস্টার্ব করো!
ডিস্টার্ব করবো বলেই চেয়েছি মিস্টার।
হাসতে হাসতেই দিয়ে দিলাম নাম্বার। কিছুদিন কথা বলতেই মেয়ে প্রপোজ করে বসে। আমাকে ছাড়া নাকি তার সম্ভব না। হ্যা সূচক উওর জানিয়ে দিলাম। ১মাস ধুমচে চললো আমাদের ফোনে কথা বার্তা। মেয়ে অনেক বার দেখা করতে চেয়েছে কিন্তু বিভিন্ন কারন দেখিয়ে যাই নি কখনো।
হঠাত্ একদিন মেয়ের মেসেজ দেখে খুব অবাক হই, "স্যরি পলাশ! আমি আসলে এমনটা চাইনি। তারপরও হয়ে গেছে। তোমাকে শুধুই কাদালাম। আসলে আমার বিয়ে ছোট বেলায় এক কাজিনের সাথে ঠিক আছে। মাফ করে দিও...
কিছুই বুঝলাম না। ৪মাস পর এক বন্ধু থেকে জানতে পারলাম মেয়েটি নাকি এখন ওর গার্লফ্রেন্ড। বিশ্বাস হলো না কিন্তু কাপল পিক দেখে বিশ্বাস না করে যাই কই?
তখন বন্ধুকে জিজ্ঞেস করতেই বলে... আসলে দোস্ত মেয়েটাকে দেখতাম তোর পোষ্টে কমেন্ট করতে। তখন ওর আইডিতে যাই এবং পিক দেখে ক্রাশ খাই। পরে জানতে পারি এ তোর গার্লফ্রেন্ড। তাই ওর সাথে ফ্রেন্ডশীপ করে তোর নামে বানিয়ে কিছু খারাপ কথা বলি।
ব্যাস সে থেকেই...
বন্ধুর এমন কথায় কষ্ট পাইনি। কারন মেয়ে ভাল হলে আমাকে যাচাই-বাচাই করতো। বরং বেচে গেছি কাল নাগিনী থেকে।
আসলে ভার্চুয়াল প্রেমের গল্পগুলোর সমাধী এভাবেই হয়....
লেখক : হাসান মাহমুদ পয়সাল