বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী এরিন ল্যাংমেইড সম্প্রতি সন্তান জন্ম দেওয়ার এক মিনিট আগেও নাকি জানতেন না, তিনি গর্ভবতী ছিলেন! তিনি নাকি প্রসব বেদনার আগে গর্ভধারনের ৯ মাসের একদিনও টের পাননি তার গ'র্ভে সন্তান এসেছে! মা হওয়ার পর তাই একরকম ঘোরের মধ্যেই কেটেছে তার কয়েক মুহূর্ত। সম্প্রতি ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এরিন। সেদিন বাথরুমে হঠাৎ চিৎ'কার শুনে ছুটে যান তার সঙ্গী ড্যান কার্টি।
উত্তে'জনা'কর সেই মুহূর্তের কথা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ড্যান। সেভেন নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিজের হৃ'দস্পন্দ'ন শুনতে পাচ্ছিলাম আমি, নিঃশ্বাস ব'ন্ধ হয়ে আসছিল। এরিন সন্তা'নস'ম্ভবা, এ বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। ড্যান বলেন, বাথরুমে গিয়ে দেখি বাবা হওয়ার খবর শোনার আগেই আমি বাবা হয়ে গেছি! এরিনের সারা শরীর নীলবর্ণ ধারণ করায় আমি প্রচ'ণ্ড ভ'য়ও পেয়ে যাই।
এরিন বলেন, আমি চিৎ'কার করেই বেহুঁ'শ হয়ে যাই। কারণ, আমার ধারণাই ছিল না এ বিষয়ে। ছিল না কোনো প্রস্তুতিও। হঠাৎ তলপেটে প্রচ'ণ্ড ব্য'থা অনুভব করি আর মিনিটখানেক যেতে না যেতেই বাচ্চার কান্নার শব্দে বাকশূ'ন্য হয়ে যাই। কখন কীভাবে চিৎ'কার করেছি, মনেও করতে পারছি না এখন।
এক প্রশ্নের জবাবে সদ্য মা হওয়া এই অভিনেত্রী জানান, নয় মাসের মধ্যে একবারও বুঝতে পারেননি তার গ'র্ভে ধীরে ধীরে সন্তান বেড়ে উঠছে। এমনকি গ'র্ভাব'স্থায় যেসব শারীরিক পরিবর্তন সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে, সেসবের কোন চিহ্নও তার শরীরে দেখা যায়নি। নিয়মিতই অভিনয় চালিয়ে গেছেন তিনি, পুরনো পোশাক-আশাক পরতেও কোনো অসুবিধা হয়নি। গ'র্ভাব'স্থায় সাধারণত বমিভাব বা পেটে ব্য'থা অনুভব করে মেয়েরা। তিনি সেটিও বুঝতে পারেননি।
এরিন বলেন, নয় মাসের মধ্যে একবারও পেটের মধ্যে নড়াচড়া করেনি আমাদের রাজকন্যা। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ইজলা। সে পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর প্রফেসর ড. মারকো দেল জুডিচে। তিনি জানান, এ ধরনের গ'র্ভা'বস্থাকে বলা হয় ‘ক্রি'পটিক প্রে'গন্যা'ন্সি’। তবে, জনসাধারণের মধ্যে এটি ‘সা'রপ্রা'ইজ বার্থ’ হিসেবেই পরিচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে আজও এর রহ'স্য উদ্ভাবন হয়নি। তবে, দিনে দিনে এর সংখ্যা বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি আড়াই হাজারে একজন নারী ‘সা'রপ্রা'ইজ বা'র্থ’র মু'খোমু'খি হন। আর ৪৭৫ জনে একজন গ'র্ভাব'স্থার ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে ধ'রতে পারেন তিনি সন্তানস'ম্ভবা।
মারকো জানান, ক্রিপটিক প্রে'গন্যা'ন্সির হার কেন বাড়ছে, সেটি বি'স্ময়ের। তবে, এটি বেশ ঝুঁ'কিপূ'র্ণ। কারণ, নারীদের গ'র্ভাবস্থা'য় সত'র্ক থাকতে হয় অনেক বেশি। এ নিয়ে আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন এ চিকিৎসাবিজ্ঞানী।