পাঠকই লেখক ডেস্ক : তোদের বাসায় মাঝে মাঝে তোর আব্বু-আম্মুকে দেখতে যাওয়া হত বলে তোকে আমি আগে থেকেই চিনতাম। প্রথম যেদিন তোর ছবি দেখি তোর চোখ আমাকে খুব আকর্ষণ করেছিল। জানি না কি লুকানো ছিল তোর চোখে, কিন্তু আমি বার বার দেখতে ইচ্ছা হত। চেষ্টা করতাম যেন তোর প্রেমে না পরি।
সেই সময়ে আমার ক্যান্সার এর খবর শুনে অনেক বিধ্বস্ত ছিলাম আর মা-বাবা কষ্ট পাবে বলে আমি ওদেরকে বলি নি। আর অন্যদিকে উনারা খালু-খালামনির সাথে কথা বলে তোর আর আমার বিয়ে পাকা করে ফেলে। তারপর আমি তোর ফোন নাম্বার জোগাড় করে তোকে বলি বিয়েতে রাজি না হতে। তুই বললি তুই দেশে এসে আমার সাথে সরাসরি কথা বলে বিয়েতে না করে দিবি। কিন্তু তুই বিয়েতে না তো করলিই না বরং বিয়ের তারিখ এগিয়ে দিলি।
সানির কথা বলে তোকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম কোন লাভ হয় নি। বিয়ের দিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে সারাদিন বাইরে ঘুরলাম যেন মনে হয় আমি পালিয়ে গেছি। সন্ধ্যায় তোরা আমাকে না পেয়ে চলে গেছিস ভেবে বাসায় গিয়ে দেখি তখনো ছিলি।
আমি রাজি না থাকা সত্বেও তোর সাথে আমাকে বিয়ে দেয়া হল।
আবিরঃ You were smart enough to create all these incidents. But I was smarter than you to know that these were fake! তোর বন্ধু ইরার কাছ থেকে আমি সানি সম্পর্কে জেনেছি। সানিকে তুই একসময় ভালবাসতি কিন্তু ব্রেকাপ হয়ে গেছে। সানিই বিদেশে চলে যাবে বলে ব্রেকাপ করেছিল। সানি সেখানে গিয়ে সিটিজেনশিপ এর জন্য বিয়েও করে। সানির নামে একটা ত্রেট চিঠি এসেছিল আমার বাসায়। অ্যার এটা জে তোর কাজ আমি বুঝতে পারি।
তাছাড়া বিয়ের দিন বাইরে কথায় কথায় গেছিস তাও আমি জানি। কি যেন একটা কথা আছে না! " তুমি চড় ডালে ডালে, আমি চড়ি পাতায় পাতায়।" এই অবস্থা আর কি।
ওইদিন সারাদিন তোর পিছনে ঘুরছি। তুই বাসায় আসার কয়েক মিনিট আগে আমি তোদের বাসায় ঢুকি। প্রথম দেখায় আমিও তোকে ভালবেসে ফেলেছিলাম। তোকে দেখার জন্য মাঝে মাঝে তোর পিছু নিতাম। সেই কারণে তুই যে অসুখের জন্যই বিয়ে করতে চাচ্ছিস না তাও বুঝতে বাকি রইল না।
আমাদের মৃত্যুর সময় সম্পর্কে আমরা কেউ জানি না। মৃত্যু এখন হতে পারে কিংবা একশো বছর পরেও হতে পারে। তাই বলে জীবন চলা বাদ দিয়ে দিতে হবে মনে করলে বোকামি।
পরীঃ তুই কেন আমাকে এত ভালবাসিস?
আবিরঃ তোকে না ভালবেসে পারা যায় না।
(বাস্তবের সাথে এই গল্পের কোন মিল নেই। এর পুরোটাই কাল্পনিক। )
লেখিকা : দিলরুবা আহমেদ পরী
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসবি/বিএসএস