পাঠকই লেখক ডেস্ক : প্রেম হওয়ার আগে যখন বুঝতে পারছিলাম তার প্রতি আমি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি ঠিক তখনই সরে আসতে চেয়েছিলাম। শুধু একটা বাহানা খুঁজছিলাম, তার সাথে বন্ধুত্ব ভেঙ্গে দেয়ার। একদিন সেই সুযোগ চলেও আসে। কোনো কারণে তার সাথে আমার একটু কথা কাটাকাটি হয় এবং তারপর থেকে আমি তার কল রিসিভ করা বন্ধ করে দিলাম।
রাতের বেলা আর থাকতে না পেরে সেদিন তার কল রিসিভ করে বলেছিলাম, ‘আমি আমার নাম্বার বদলে ফেলব, কাল থেকে তোর আমার ফ্রেন্ডশিপ এখানেই শেষ’ সে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলেছিল, ‘কেন শুধু শুধু তুই এমন করছিস সামান্য একটা ব্যাপারে, আমি তো সরি বলেছিই’
বাদ দে, এসব আসলে আমার নিজেরই সমস্যা আসলে আমার নিজেরও খারাপ লাগছিল তার সাথে এমন করতে।
সে বলেছিল, ‘তুই আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারবি ?’
আমি- পারব, না পারলেও পারতে হবে।
সে- জানি তুই পারবিনা, প্লিজ নাম্বারটা বদলে ফেলিস না, আমি তোকে কল দিব। আর কিসের ফ্রেন্ডশিপ শেষ করবি দেখব আমি কালকে কলেজে এসে। তোকে যদি আমার লম্বা নখ দিয়ে খামচি না দিয়েছি আমার নাম মিথিলা না... ।
তার সাথে তর্কাতর্কিতে ওই দিনের কথা শেষ হয়ে যায়। তবে সকালে উঠে কলেজে গিয়ে আমি আবিস্কার করলাম, আমি আসলেই তার সাথে কথা না বলে থাকতে পারবনা... । একসময়, সে আসলে আবার দুজন স্বাভাবিক হয়ে কথা বলি, আর সে আলতো করে খামচি দিতে কিন্তু ভুলে যায় না।
এখন কথা হল, আমার মতো একই কথা কি সে পরের দুজনকেও বলেছে? সে কি আহ্লাদী ভাষায় তাদেরও বলেছে, ‘আমার সাথে কথা না বলে তুই থাকতে পারবি?’
নাকি এখনো সে নতুন শিকার ধরায় ব্যাস্ত? তাদের ব্যাস্ততার শেষ নেই।
তখন থাকতে না পারলে কি হবে? তিন চার বছর বেশ আছি। আসলে এসব করপোরেট মানসিকতার মানুষগুলোর অতি সহজেই মানুষকে বোকা করে দেয়, কেউ কেউ তো এমন অভিনয় করতে পারে যে মানুষ তাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। এদের ব্যাপারে সাবধান?
লেখক- Icarus Er Dana
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসবি/বিএসএস