বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: ভারতের কেরালা রাজ্যের দিনমজুর পি রঞ্জন ব্যাংকে ঋণের জন্য চারবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু চারবারই তার আবেদন নাকচ করে দেয় ব্যাংক।জানুয়ারিতে শেষবারের মতো তার আবেদন নাকচ হওয়ার পর বাড়ি আসার পথে তিনি বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে ব্যাংকের একটি লটারি কিনে আনেন। এ লটারিতেই তিনি জিতে নিলেন ১২ কোটি রুপির ( ১৪ কোটি টাকা ) সর্বোচ্চ পুরস্কারটি।
কেরালার কান্নুর জেলার কুথুপারাম্ভা শহরের বাসিন্দা রঞ্জন গত বছরই তার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। মেয়ের বিয়েতে খরচের জন্য তার বিশাল অঙ্কের ধা'র-দেনা জমে ছিল।পাশাপাশি তার বাড়ি তৈরির কাজ অর্ধেক সমাপ্ত হবার পর অর্থের অভাবে থে'মে গিয়েছিল। অর্থের জন্য তার ছেলেকে পড়ালেখা ছেড়ে জীবিকা অর্জনের জন্য না'মতে হয়েছিল। ছোট মেয়ে এবার মাধ্যমিকে পড়াশুনা করছে।অবস্থার পরিপ্রে'ক্ষিতে অভাবকে সাময়িকভাবে দ'মনের জন্য ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেন তিনি। একে একে চারবার আবেদন করলেও প্রত্যেকবারই ব্যাংক তার আবেদন নাকচ করে দেয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) লটারির এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সর্বোচ্চ পুরস্কারের দাবি করে কোনো লটারি ক্রেতাই সেদিন হাজির হননি।
পরদিন মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রঞ্জন তার টিকেট নাম্বার লিখে কাছাকাছি এক দোকানে যান তার কেনা লটারির বিপরীতে কোনো পুরস্কার আছে কিনা তা দেখতে।
তাকে বিস্মিত করে দোকানি জানায়, তিনশ রুপি দিয়ে তার কেনা এসটি ২৬৯৬০৯ নম্বরের টিকেটটি লটারিতে সর্বোচ্চ পুরস্কার ১২ কোটি রুপি জিতে নিয়েছে।
রঞ্জনের স্ত্রী রজনী জানান, তার স্বামীর লটারি কেনা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝ'গড়া হতো। কিন্তু এবারের লটারি নিয়ে ঝ'গড়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।
রঞ্জন বলেন, স্ত্রীকে যখন তিনি লটারি জে'তার খবর দেন তখন তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি। পরে লোকজন তাকে অভিনন্দন জানাতে এলে রজনী বুঝতে পারেন।
রঞ্জন জানান, লটারির এ টাকা থেকে প্রথমে তিনি সাত লাখ রুপি দেনা শোধ করবেন এবং তার অর্ধেক শেষ করা বাড়ির কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ করবেন।