পাঠকই লেখক ডেস্ক : দেখতে দেখতে রুমি আর ফারিয়া এর সম্পর্ক ৩বছর হয়ে গেল .. তার মাঝে কত খুনসুটি, ঝগড়া , ভালোবাসা...
সম্পর্কটা শুরু হয় ফারিয়া যখন দশম শ্রেণীতে পড়ে তখন থেকে .. ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে দুইজন যে কতো হেঁটেছে কত রাস্তার অলিতে গলিতে .. কত জায়গায় যে ঘুরেছে.. কিন্তু ফারিয়া কলেজ এ পরার পর থেকে হাঁটার পরিমাণ কমে যায় কলেজ দুরে হওয়াতে...
ভালোবাসা দিয়ে পুর্ণ ছিল দুইজনের জীবন ... রুমি মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে এ ঝগড়া লাগাত কারন ফারিয়া নাকি ঝগড়ার সময় বেশি কথা বলত তাছাড়া চুপচাপ থাকত বেশি কথা বলত না.. তাদের মাঝে যে কতবার ব্রেক আপ হয়েছে গুনে শেষ করা যাবে না....এভাবেই ভালোবাসা, ঝগড়ার মাঝে কেটে গেলো...
এর মাঝে ফারিয়া বাসায় ধরা পড়ল... বাসা থেকে টাকা দেয়া বন্ধ হয়ে গেল.. এমন ও দিন গিয়েছে দুই জনের কারো কাছে টাকা নেই তারা শুধু হাটত ...এভাবেই কেটে যায় ৩ টা বছর..
হঠাত রুমির বাবা মারা যায়...রুমি ফারিয়া কে এড়িয়ে চলতে থাকে কারন রুমি বুঝতে পারছিল যে সামনে তাকে বড় এক টা অভাব এর সম্মুখীন হতে হবে আর সে চাচ্ছিল না যে ফারিয়া সেই কষ্টে পড়ুক... রুমির এটাই মনে হত যে সে ফারিয়া কে সুখী করতে পারবেনা কারন তার বাবা মারা গিয়েছে আর সে কোনো চাকরি করে না...ফারিয়া জানতে পেরে অনেক বুঝায় রুমি কে...অবশেষে রুমি রাজি হয়...
আসলে ফারিয়া পারত রুমি কে ছেড়ে দিতে কিন্তু ফারিয়া বুঝেছিল ঐ সময়তাতে রুমির ফারিয়াকেই বেশি দরকার... আর তাছাড়া ফারিয়া রুমি কে খুব খুব ভালোবাসতো....
শুরু হলো তাদের নতুন জীবন..রুমি দেখা কর তে চাইত না কারন অভাব চলছিল এর মাঝে ফারিয়া কে নিয়ে কোথাও ঘুরা সম্ভব ছিল না.. ফারিয়া একদিন অনেক টা জোর করে দেখা করল ... দুই জনের কারো কাছেই টাকা নেই দুই জন এ জানে কিন্তু কেউ বলে না..ফারিয়া বলে চলো হাঁটি কতদিন হাঁটি না.. রুমি সব বঝে তাও না বোঝার ভান করে হাসি দিয়ে দুই জন আবার হাটতে লাগল ...
দুর .....
বহুদুর.....
এইতো ভালোবাসা....
লেখক : আনতারা আনজুম পিউলি
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি