পাঠকই লেখক ডেস্ক: আজ কিছুক্ষণ হলো আবির মারা গেছে। আবির খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছিল, তার অনুভূতির দিন শেষ। আবিরের নাম পযর্ন্ত বলতে সবাই ভয় পায়। আবির একজন ক্ষমতাশীল ছাত্র নেতা। কিন্তু মনের দিক থেকে একজন সাধারণ মানুষ।
কখনো কাওকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষতি করেনি। স্মোক করে কিন্তু বাজে নেশা করে না । দিনটা ঠান্ডা বলে রেলগেটে বসে চা পান করছে। হঠাৎ করে আবির দেখলো একটা নীল ডানা কাটা পরী তার দিকে আসছে।
এসে দোকানদারকে বললো, একটা চা দিনতো । আবিরের দিক মেয়েটি চেয়ে বললো, একটু সরে বসেন।
আবির একটু অবাক হলো। মেয়েটি বললো, 'এই যে আপনাকে বলছি।' আবির সরে মেয়েটিকে বসতে দিল। আবারও আবিরকে অবাক করে দিয়ে বললো, এমন করে চেয়ে আছেন কেন? এর আগে কি কখনো মেয়ে দেখেননি...!।
আবির চোখ সরিয়ে নিল। আবিরের মনের অজান্তে মেয়েটিকে ভালো লেগেছে। মেয়েটি চলে গেল আবির মুগ্ধ
দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। আবির দোকানদারকে জিজ্ঞেসা করায় দোকানি বললো, ভাইজান এইটাতো মুকুল সাহেবের মেয়ে।
- নাম কি? কোথায় পড়ে?
- নাম মীরা, কলেজে পড়ে আবির এখন মেয়েটির কথাই ভাবছে। কয়েকদিন পর মীরাও
জানতে পারলো আবির তাকে ভালোবাসে।
৫:২০ বাজে মীরা যাচ্ছে। আবির সাহস করে মীরাকে ডাক দিল। মীরা পেছনে তাকিয়ে বললো, কেমন
আছেন? কথা শুরু হলো...
এরপর ফোন নাম্বার আদান-প্রদান, এসএমএস এ কথা বলা। আবির বিশ্বাস করতে পারছিল না কল্পনা নাকি বাস্তব। এভাবে কিছুদিন পরে মীরার এসএমএস আসলো, আমাকে ভুলে যাও, আমি তোমাকে ঠকাতে পারবো না। আমি একজনকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি, আমাকে ক্ষমা করো না হলে অভিশাপ দাও।
আবির কিছুই বুঝলো না, নিশ্চুপ পাথর হয়ে গেল। বাস্তবে আবির ফিরে এলো। সত্যিই আবিরের দম বন্ধ
হয়ে আসছে। আবিরের সত্ত্বা বলছে, তোর তো কোনো ভুল ছিল না !
লেখক: ছন্নছাড়া বেনজামিন আবির
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি