পাঠকই লেখক ডেস্ক: ছেলেদের জীবনের অধিকাংশ সময়টাই যায় মেয়েদের পিছনে আত্মত্যাগ করে। তাও তাদের কঠিন ভিত্তি প্রস্তর দিয়ে তৈরি হৃদয়টুকু সম্পূর্ণ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ! জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই একটি ছেলেকে স্যাক্রিফাইস করে চলতে হয়।
১) জিএফ এর সাথে রিকশায় ঘুরবেন, ভাড়া ছেলেরই দিতে হবে। করলেন স্যাক্রিফাইস...! (যদিও কিছু মেয়ে একটু-আকটু ভাড়া দেয়ার অভিনয় করে)
২) পার্কে বসে বাদাম, ফুসকা খাবেন? সেইখানেও খরচ স্যাক্রিফাইস।
৩) মেয়ে স্টাইলিস্ট হইলে তো কথাই নাই! দুই দিন পর পর শপিং তো আছেই। যেন মার্কেটগুলান হেতির বাপের বাড়ির আবদার! নিজের ব্যাগ ভর্তি টাকা, তাও বয়ফ্রেন্ডকে ফোন দিয়া কইবে, 'চলো না জান, আজকে শপিং করে আসি!' সোনা আমার......! (ইশ কি প্রেম? তোর আসল মতলব তো পরিষ্কার)
৪) তারপর ডেটিংয়ের ফাকে ফাকে কইবো, ক্ষুদা লাইগেছে জানু...! ডাইরেক্ট কইলেই অয়, রেস্টুরেন্ট এ যামু, কিছু খাওয়া গলায় ঢালমু। খুব আহ্লাদে গদো গদো কইরা কইবো, রেস্টুরেন্টে গেলেই শুধু তুমি আর আমি, অথচ পোলার মানিব্যাগের অবস্থা একদিনেই মরুভূমি। (ক্যারে ছেড়ি বাইত্তে খাছ না?)
৫) তারপর বিয়া! বউ, পুলাপাইনের জন্য ভালোবাসা, যৌবন স্যাক্রিফাইস।
৬) সারা দিন গাধার মতন খাইট্টা, শ্রম স্যাক্রিফাইস। তাও টায়ার্ড হইয়া বাড়ি ফিরলে বউ কইবো, 'তুমি আর আগের মতো আমাকে ভালুবাসো না'। (আগের মতো ভালুবাসলে খাবি কি? বাদাম?)
৭) সারা জীবন শ্রম, টাকা পয়সা, ভালোবাসা, যৌবন স্যাক্রিফাইস কইরা শেষমেষ করবেন জীবন স্যাক্রিফাইস।
মেয়েরা আসলে নিজেরাও হয়তো জানে না, একটি ছেলে তার জন্য জীবনের প্রতিটি ধাপে কি পরিমাণ স্যাক্রিফাইস করে! আফসুস...!
লেখক: রিয়াজুল হক হৃদয়
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসবি/বিএসএস