পাঠকই লেখক ডেস্ক: কিছুদিন আগে আম্মাকে বলেছিলাম, 'দুপুরে ভার্সিটিতে খেতে এখন আর ভালো লাগেনা। হাবিযাবি খাই, টাকা খরচ হয় কিন্তু পেট ভরে না।' আম্মা অবশ্য কথাটা শুনে তখন কিছু বলে নাই।
আজ অনেক সকালে ক্লাস ছিল। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছি তখন আম্মা দেখি একটা টিফিন বক্স এগিয়ে দিচ্ছে, 'এইযে তোর দুপুরের খাবার।'
আম্মা যদি আমাকে আগে জিজ্ঞেস করতো টিফিন দেবে কিনা, আমি কিছুতেই রাজি হতাম না! এইটা আম্মাও জানতো তাই সকালে উঠে আমাকে না জানিয়ে টিফিন তৈরি করে রেখেছে। আমি স্কুলের বাবুদের মতো টিফিন বক্স আর পানির বোতল ব্যাগে ভরে ভার্সিটি গেলাম।
দুপুরে খাওয়ার সময় গেলাম মহসিন হলের সামনে। একটা দোকানের বেঞ্চিতে বসে টিফিন বক্স খুললাম! ওয়াও! ফ্রাইড রাইস! খুব মজা করে খাওয়া শুরু করলাম। কাছেই কয়েকটা মেয়ে বসে নুডলস খাচ্ছিলো। তারা আমার টিফিন বক্স থেকে খেতে দেখে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছিল। আমার একটু লজ্জা লাগছিল
কিন্তু খাওয়া শেষ করলাম!
কত্তদিন পড় দুপুরবেলা মায়ের হাতে বানানো টিফিন খেলাম! সেই কবে কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পড়তে খেয়েছি! মায়েরা এতো ভালো হয় কেনো? সন্তানের কি দরকার কতো সহজেই বুঝে ফেলে!
আমি মাঝে মাঝে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন আমার মায়ের আগে আমার মৃত্যু হয়! মায়ের কোলে মাথা রেখে শেষ নিদ্রায় যাওয়ার সৌভাগ্য কয়জন সন্তানের হয়?
লেখক: নাজিম উদ দৌলা
বি:দ্র: সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসবি/বিএসএস