সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৫০:০০

বিল গেটস ও এক বাংলাদেশী

বিল গেটস ও এক বাংলাদেশী

পাঠকই লেখক ডেস্ক: মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস তুরস্কের নতুন অফিসের জন্য একজন কাবিল এমপ্লয়ি খুঁজছেন। প্রায় বিশ হাজার আবেদন পত্র জমা পড়লো। এই বিশ হাজারে ‘তরফদার’ নামের এক বাংলাদেশীও আছেন। বিল গেটস বিশ হাজার আবেদনকারীকেই এক সাথে একটা বড় হল রুমে ডাকলেন।

বিল গেটস বললেন- "এখানে যারা ‘জাভা প্রোগ্রামিং’ পারেন শুধু তারা থাকবেন। বাকিরা দয়া করে আসতে পারেন।"

বিশ হাজারের মধ্যে দশ হাজার জন হল ত্যাগ করলেন। তরফদার সাহেব মনে মনে ভাবলেন, আমি বরং থেকেই যাই এখানে, হারানোর তো কিছু নাই আমার, আর ‘জাভা প্রোগ্রামিং’ এমন কি জিনিস! চাকরিটা পেলে দুই দিনে না হয় শিখে নিবো, দাড়িয়েই থাকি বরং।

বিল গেটস এবার বললেন- "এখানে যাদের ‘নেটওয়ার্কিং এ দক্ষতা আছে শুধু তারা থাকবেন। বাকিরা দয়া করে আসতে পারেন।"

দশ হাজার এর মধ্যে পাঁচ হাজার জন হল ত্যাগ করলেন। তরফদার সাহেব মনে মনে ভাবলেন, ‘নেটওয়ার্কিং’ আর এমন কি জিনিস! চাকরিটা পেলে দুই দিনের মামলা এটা!

বিল গেটস এবার বললেন- "এখানে যাদের ‘ইউন্ডোজ ও ইউনিক্স এ দক্ষতা আছে’ শুধু তারা থাকবেন। বাকিরা দয়া করে আসতে পারেন।"

পাঁচ হাজারের মধ্যে তিন হাজার জন হল ত্যাগ করলেন। তরফদার সাহেব মনে মনে ভাবলেন, ব্যাপার না চাকরিটা পেলে, দুই দিনে শর্ট কোর্স করে নিবো।

বিল গেটস এবার বললেন- "যারা তুরস্কের ভাষা ফ্লুয়েন্টলি বলতে পারেন তারা থাকবেন আর বাকিরা দয়া করে আসতে পারেন।"

দুই হাজারের মধ্যে ১,৯৯৮ জন হল ত্যাগ করলেন, দুইজন দাড়িয়ে রইলেন; তরফদার আর আরেক ভদ্রলোক।

বিল গেটস বললেন– 'গুড, আপনারা দুইজন আমাদের সকল ক্রায়টেরিয়া ফুলফিল করেছেন। আপনাদের এখন আমি টেস্ট নিবো। তবে তার আগে আপনারা দুইজন একে অপরের সাথে তুরস্কের ভাষায় কিছু কথা বলুনতো দেখি।"

তরফদার সাহেব পাশের ভদ্রলোককে আমতা আমতা করে বললেন, ‘ভাইজান, কেমন আসুইন?’

পাশের ভদ্রলোক দাঁত বের করে বললেন, 'এই তো, বালাই আছি... আফনে?'

লেখক: জনৈক ব্যক্তি (লেখাটি কাল্পনিক)
বি:দ্র:  সম্পাদক দায়ী নয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসবি/বিএসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে