বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে', সেই কোন কাল থেকে মানুষ বুঝিয়ে আসছে অন্য কোনও পার্থিব জিনিস নয়, সন্তানই হল শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আর সেই সম্পদকে আগলে রাখতে কত চেষ্টাই না করে থাকি আমরা। কিন্তু সন্তান প্রেম কি শুধুই আমাদের? পশুপাখিরা নিজেদের সন্তানের জন্যে ভাবে না? খতিয়ে দেখলে পাওয়া যাবে, ওরাই হয়ত আরও গভীরভাবে ভাবে। আর ভাবে বলেই নিজের আস'ন্ন সন্তানদের মৃ'ত্যু দেখে বেঁ'চে থাকার ইচ্ছেটুকুই হা'রিয়ে ফে'লল এক মা হাঁস।
এর এই ম'র্মা'ন্তি'ক মৃ'ত্যুর পিছ'নেও হাত রয়ে গেল মানুষেরই। ঘ'টনা'টি ঘ'টে'ছে কিয়ার্সলে'র ম্যাঞ্চেস্টার ক্যানালে। জানা গিয়েছে, গত ২০ মে সেখানে বেড়াতে গিয়েছিল একদল কিশোর-কিশোরী। তাঁরাই ঢি'ল ছু'ড়ে ভে'ঙে দেয় ওই হাঁসের বাসাটি। সেখানে ৬টি ডিম পে'রেছিল হাঁসটি। কিন্তু ঢিলের আ'ঘা'তে তিনটি ডিম ভে'ঙে যায়।
এক বন্যপ্রাণী সংর'ক্ষণ কর্মী জানান, ওই তিনটি ডিম ভে'ঙে যাওয়ার পর আরও দুটি ডিম ন'ষ্ট হয়ে যায়। পড়ে থাকে শুধু একটি ডিম। সেই আ'ঘা'ত আর সা'মলে উঠতে পারেনি মা হাঁসটি। এমন প'রিস্থিতি স'ঙ্গী পুরুষ হাঁসটিও আর ফিরে আসেনি স্ত্রী হাঁসটির কাছে। ফলে হ'তা'শা যেন মা হাঁসটিকে আরও বেশি করে গ্রা'স করে ফে'লে। চলতি সপ্তাহে ওই মা হাঁসটিকে মৃ'ত অব'স্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ক্যানালের কর্মীরা।
বন্যপ্রাণী সংর'ক্ষণের সঙ্গে যু'ক্ত ওই কর্মী, সাম উডরো বলছেন, 'সত্যিই কিছু বলার নেই। হৃদয় ভে'ঙে গিয়েছিল হাঁসটির। জীবনস'ঙ্গী চলে গিয়েছে, আস'ন্ন সন্তানরাও আর বেঁচে নেই দেখে হ'তাশাতে ডু'বে গিয়েই মৃ'ত্যু হয়েছে ওর।'
ফেসবুকে ঘ'ট'নাটির কথা পোস্ট করে সাম লিখেছেন, 'অত্যন্ত দুঃখের ঘ'টনা। চাইছিলাম না লিখতে। কিন্তু ওর কথা না বললে অনেককিছু না বলাই থেকে যেত। জীবনসঙ্গী চলে গিয়েছে, মানুষ ও বাচ্চাগুলোকেও কে'ড়ে নিল। দুঃখে পৃথিবী ছে'ড়েই চলে গেল ও। আমার কান্না পাচ্ছে।' সামের পোস্টের ত'লায় বহু মানুষ নিজেদের দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেন, 'মায়ের মন, সন্তানশো'কে আর বেঁ'চে থাকতে চাইল না সে।'
ঘ'টনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে তদ'ন্ত শুরু হয়েছে। হাঁসের বাসায় ঢি'ল কারা ছু'ড়ে'ছিল, তা জানতে 0300 123 8018 নম্বরে একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ১৯৮১ সালে ওয়ার্ল্ডলাইফ অ্যান্ড কা'নট্রিসা'ইড আইনে মাম'লাও দা'য়ের হয়েছে।-এই সময়