মধ্যরাতে স্ত্রীর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। স্বামী ব্যক্তিটি মোবাইল হাতে নিয়ে দেখেন মেসেজটি তার বস পাঠিয়েছেন। বিব্রতকর ওই এসএমএসটি পাওয়ার পর থেকে ভদ্রলোক চিন্তিত হয়ে আছেন এবং তিনি চাচ্ছেন এমনটা যেন আর না হয়।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তি বলেছেন, তিনি জানেন স্ত্রীর মোবাইলে তার হাত দেওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু মধ্যরাতে কে মেসেজটি পাঠিয়েছে তা দেখতে উদগ্রীব ছিলেন। পরে তিনি দেখেন স্ত্রীর বস স্ত্রীকে বাজে একটি এসএমএস পাঠিয়েছেন। সেখানে বস লিখেছেন, তিনি তাকে (স্ত্রী) জড়িয়ে রাখতে চান। এটা দেখার পর থেকে তিনি এখন উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, আমি তাদের এই যোগাযোগ বন্ধ করতে চাই এবং সন্দেহ করছি বসের সঙ্গে স্ত্রীর এই মেসেজের চেয়ে বেশি কিছু চলছে। কারণ স্ত্রীকে মেসেজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমাকে মিথ্যা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ অ্যাগ্রিগেটর রেডিটকে ওই ব্যক্তিকে বলেন, গত বছর আমার স্ত্রী নতুন একটি চাকরি পায়। সে খুব পরিশ্রম করছিল এবং দীর্ঘ সময় কাজ করছে। তাই ছেলে-মেয়েদের দেখাশোনা আমিই করছি। আমি জানি কয়েক সপ্তাহ ধরে সে তার বসের সঙ্গে মেসেজ আদান-প্রদান করছে। সম্প্রতি আমাদের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠছে। সন্দেহ করছি বসের সঙ্গে কিছু একটা হচ্ছে। আমি জানি সম্মতি না নিয়ে তার মোবাইল ধরা আমার ঠিক হয়নি। কিন্তু আমি তা করেছি।
তিনি বলেন, রাতে বস তাকে (স্ত্রীকে) শুভ রাত্রি জানায়, জড়িয়ে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করাসহ আরো বিভিন্ন মেসেজ পাঠায়। যদিও সে এসব অস্বীকার করেছে। আমি জানি সে প্রতারণা করছে না। কিন্তু সে সত্যটাও বলছে না। এমনকি এটা শারীরিক সম্পর্কেরও কিছু না, কিন্তু তার বসের ব্যাপারে আমার খুব রাগ হচ্ছে।
তিনি রেডিটের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি কি এই ব্যাপারে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, নাকি বসের স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন?
রেডিটের এক ব্যবহারকারী তাকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, আপনার স্ত্রী হয়রানির শিকার হচ্ছে। তিনি সম্ভবত প্রতারণা করছেন না, কিন্তু তিনি সমঝোতা করে চলছেন। পরিবারকে সহায়তা করতে তিনি চাকরিটা হারাতে চাচ্ছেন না। আপনি তাকে সমর্থন করুন। একসঙ্গে আলোচনা করুন। আপনারা একে অন্যকে সহযোগিতা করলে আপনাদের বিয়েটা মজবুত হবে। ডেইলি মিরর অনলাইন।