প্রেম, অতঃপর বিয়ে। সংসারও সুখের চলছিল মজিবর ও সুমির। হঠাৎ কি হলো জানেন না মজিবর। স্ত্রীকে নিয়ে যান শাশুড়ি। ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে কাজ হয়নি।
তাই এবার স্ত্রীকে ফিরে পেতে অভিনব প্রচারণা চালাচ্ছেন মজিবর। গাছে গাছে টানিয়েছেন বিলবোর্ড। যাতে লেখা 'ও সুমিরে তোমায় ছাড়া ভালো লাগে না, তুমি যে আমারি শুধু যে আমারি, চিরদিন কাছে থাকো না।' বিলবোর্ডের নিচের লেখা, ইতি তোমার স্বামী মজিবর। নিচে যোগাযোগের জন্য নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে রেখেছেন মজিবর।
জানা যায়, মজিবর পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। একমাত্র বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করেন নরসিংদী শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকায়। বাবা জয়নাল গাজী মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান তিনি।
কয়েক বছর আগে রায়পুরা উপজেলার মরজাল কামারটকে এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। স্ত্রী এবং মাকে নিয়েই মজিবরের সংসার।
প্রায় দেড় মাস আগে ইজিবাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরে মজিবর দেখেন তার স্ত্রী নেই। শাশুড়ি লিপি বেগম তাকে নিয়ে গেছেন। পরদিন শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে আনতে চাইলে বাধা দেন শাশুড়ি লিলি বেগম। এ সময় মজিবর জানতে পারেন, সুমিকে শিবপুর উপজেলার বিসিক আমতলার একটি গার্মেন্টে চাকরি দিয়েছেন তার মা।
এরপর মজিবর স্ত্রীকে ফিরে পেতে গাছে গাছে বিলবোর্ড টানিয়েছেন। সুমির কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তাকে দেখানোর জন্য টানিয়েছেন ২৫টি বিলবোর্ড। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে বিলবোর্ড দেখে সুমির মন গলে এবং তার কাছে চলে আসে।
মজিবর জানান, দীর্ঘ দেড় বছরের প্রেম, তারপর বিয়ে, সুমিকে অনেক ভালোবাসেন তিনি। বিয়ের দেড় বছরে একবারও ঝগড়া হয়নি। হয়নি কোনো গালমন্দও। তাকে না পেলে বাঁচবেন না। সুমিকে ফিরে পেতে ২৫টি বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন।
তবে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি মজিবর। কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সুমি তার বাবার বাড়ি আছে বলে অভিযোগ করার প্রয়োজন মনে হয়নি।'