ঢাকা : এক বধূ দুই স্বামী। সবাই থাকেন এক ছাদের নিচে। না এটা কোন সিনামার গল্প, না এটা অন্য দেশে। এঘটনা বাংলাদেশেই এবং বাস্তব। ঢাকার ধামরাই উপজেলায় একই ঘরে বসবাস করছেন এক বধূ ও তার দুই স্বামী। শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় সামনে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গণপিটুনির পর এক স্বামী পালিয়ে যেতে পারলেও আরেক স্বামী স্ত্রীসহ আছেন পুলিশ হেফাজতে। ঘটনা জানাজানির পর স্থানীয়দের গণপিটুনিতে আটকের পর রেজাউল করিম রাজা মিয়া (৪৮) নামে এক প্রেমিক কৌশলে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নে এক তরুণী (২২) গোপনে দুই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। রাত্রী যাপনও করেন একইসঙ্গে।
পলাতক রেজাউল ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রীসহ আরেক স্বামী আছেন পুলিশ হেফাজতে। ওই তরুণী (২২) উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পলাতক ওই ব্যক্তি কৌশলে নিজের অর্ধ বয়সী ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। আজ সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি লোকচক্ষুর আড়ালে তরুণীর ঘরে ঢুকে পড়েন।
এরইমধ্যে ঢাকার কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসে তার স্বামীও। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ও মানুষের আওয়াজ পেয়ে দরজার ফুটো দিয়ে তাকালে সে ওই যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। পরে আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে দু'জনকে আটক করা হয়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে খবর দেয় স্থানীয়রা। তারা আসলে প্রস্রাবের বেগ পেয়েছে জানিয়ে বাইরে গিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় অসমবয়সী প্রেমিক।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে প্রেমিককে না পেলেও তরুণীকে স্বামিসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি আটককৃত প্রেমিক পালিয়ে গেছেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তরুণীকে প্রথম স্বামীসহ থানায় নিয়ে এসেছি। তারা অভিযোগ করলে ওই কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হবে।