বিচিত্র জগৎ ডেস্ক : এখন আপন দুই বোনের এক স্বামী! ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকায়। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই শ্যালিকা বিয়ে করলেন সুজিত নামে এক ব্যক্তি। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অন্যত্র গিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বর্ণালীর বাবা কালিপদ সিকদার।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত মাস্টার কেদারনাথ গাইনের ছেলে সুজিত গাইন। তিনি পেশায় একজন ডেকরেটর ব্যবসায়ী।
সুজিতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুজিত প্রায় পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন একই উপজেলার ঘোপেরখাল গ্রামের কালিপদ সিকদারের মেয়ে রূপালি গাইনকে। তাদের ঘরে একটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সুজিতের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন রূপালির ছোট বোন স্বর্ণালী। এ সুবাদে সুজিত-স্বর্ণালীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
এদিকে ঘটনাটি রূপালি জানতে পেরে ছোট বোন স্বর্ণালীকে বাবার বাড়িতে দিয়ে আসেন। স্বর্ণালী বাড়িতে পৌঁছানোর পর উধাও হয়ে যান। এ সময় তাকে খুঁজে না পেয়ে বাবা কালিপদ সিকদার মেয়ের জামাই সুজিত গাইনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
রূপালি গাইনের ভাই জয়দেব সিকদার জানান, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জামাইবাবু আমার বড় দিদির সঙ্গে বিয়ে থাকা সত্ত্বেও আমার ছোট বোনকে বিয়ে করেছে। তবে রূপালী দিদি বিষয়টি মেনে নিয়ে ছোট বোনের সঙ্গে একত্রে সংসার করতে রাজি হয়েছেন।
সুজিত গাইনের প্রথম স্ত্রী রূপালী জানান, স্বর্ণালী তো আমারই ছোট বোন। আমি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিয়ে করে নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে এখন আমরা দুই বোন একসঙ্গে সংসার করব। এ বিষয়ে সুজিত গাইন জানান, ভালোবেসে এই বিয়ে করেছি। আমার প্রথম স্ত্রী মেনে নিয়েছে বিষয়টি। এখন আমি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে ঘর করব।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, স্বর্ণালীর বাবা প্রথমে তাকে খুঁজে না পেয়ে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুজিত ও স্বর্ণালীকে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। পরে তিনি অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় আর মামলা করা হয়নি।