শনিবার, ০৫ মার্চ, ২০২২, ০১:১০:৩৩

সহকারী শিক্ষককে ঘুষি প্রধান শিক্ষকের! ভয়ে স্কুল ছেড়ে পালায় ছাত্র-ছাত্রী

সহকারী শিক্ষককে ঘুষি প্রধান শিক্ষকের! ভয়ে স্কুল ছেড়ে পালায় ছাত্র-ছাত্রী

অর্ণব দাস : স্কুলের মধ্যে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি। সহকারী শিক্ষককে মে'রে নাক ফা'টিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। র'ক্তা'ক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছটপট করতে থাকেন ওই শিক্ষক। আতঙ্কিত হয়ে স্কুল ছাড়ে পড়ুয়ারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তী'ব্র উ'ত্তে'জনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলে।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ। আক্রান্ত শিক্ষকের নাম কার্তিক পাল। নানারকমের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে ওই শিক্ষকের। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য টিফিন পিরি'য়ডের পর স্কুল থেকে বেরনোর জন্য প্রধান শিক্ষকের অনুমতি চান। অনুমতি না মিললেও ওইদিন বেরিয়ে যান তিনি। শুক্রবার সময়মতো স্কুলে আসেন কার্তিকবাবু। এছাড়াও তাঁর দাবি, গত প্রায় ২ বছর ধ'রে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা পান তিনি। সে টাকাও পরিশোধ করেননি প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ। তা নিয়েও দুই শিক্ষকের মধ্যে বি'বাদ লেগেই ছিল।

কার্তিক পালের দাবি, শুক্রবার স্কুলে ঢোকার পরই প্রধান শিক্ষক তাঁকে এলো'পা'থাড়ি মা'রধ'র করে। নাক ফা'টিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। র'ক্তার'ক্তি কা'ণ্ড ঘটে। য'ন্ত্র'ণায় ছ'টফ'ট করতে থাকেন তিনি। স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। জ'খ'ম শিক্ষককে উ'দ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশ'ঙ্কাজনক হওয়ায় বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এই ঘটনায় আ'তঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। স্কুল ছেড়ে চলে যায় প্রায় সকলেই। এই ঘটনায় অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্তের যদিও দাবি, ওই শিক্ষক পড়ে গিয়ে আহ'ত পেয়েছেন। তিনি কাউকে মা'রধ'র করেননি। তবে অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, প্রধান শিক্ষককে মা'রধ'র করতে দেখেছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

 

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে