বিচিত্র জগৎ ডেস্ক : আমিষ, নিরামিষ থেকে শুরু করে পায়েস- সবেতেই তেজপাতার ব্যবহার প্রচলিত। তেজপাতার স্নিগ্ধ অথচ ভিন্ন ধরনের সুগন্ধ রান্নায় এক অন্য মাত্রা যোগ করে।
বিশ্বের নানা দেশের মধ্যে ভারতীয় খাবারের চাহিদা সব সময়েই বেশি। আমিষ, নিরামিষ থেকে শুরু করে পায়েস- সবেতেই তেজপাতার ব্যবহার প্রচলিত। তেজপাতার স্নিগ্ধ অথচ ভিন্ন ধরনের সুগন্ধ রান্নায় এক অন্য মাত্রা যোগ করে।
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, যেমন ভারত, চিন, ভুটানে এর ফলন ও চাহিদা খুব বেশি। আমাদের দেশে তো বটেই, অন্যান্য অনেক দেশেই তেজপাতা শুধুমাত্র খাদ্যের সুগন্ধ বাড়াতেই নয়, নানাবিধ ঔষধি কাজেও ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ এর কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপকারিতাও রয়েছে।
একটি তেজপাতা পোড়ানোর উপকারিতা জানলে নিজেই অবাক হবেন!
ওষুধ হিসাবে বিভিন্ন ব্যবহারগত পদ্ধতির মধ্যে তেজপাতা পোড়ানো হল অন্যতম। প্রাচীন ভারতীয় অ্যারোমা থেরাপি পদ্ধতি আজ সারা বিশ্বেই সমাদৃত। এই থেরাপি অনুসারে, বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ আমাদের মন এবং শরীরের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
আমরা অনেকেই হয় তো লক্ষ্য করেছি যে, আমরা যখনই কোনও যোগাসন প্রতিষ্ঠান, মেডিটেশন হাউজ, মন্দির বা সুসজ্জিত হোটেলে যাই তখন এক নির্দিষ্ট সুগন্ধ আমাদের মনকে মোহিত করে, শান্ত করে।
এই ধরনের সুগন্ধি ব্যবহারের অন্যতম উদ্দেশ্য হল মন থেকে বিরক্তিকর ধ্যান-ধারণা, বিভ্রান্তি, নানা উত্তেজনাপূর্ণ চিন্তা সরিয়ে মনকে প্রশান্তি দান করা।
একই ভাবে আমাদের প্রাত্যহিক ঘরকন্নার কাজে ব্যবহৃত এমন কিছু ভেষজ রয়েছে যাদের ধোঁয়া আমাদের ঘরকে কেবল শুদ্ধই করে না, বরং ধূঁপের ধোয়ার মতো একই উদ্দেশ্য সাধন করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে তেজপাতা। রোজ ঘরে ধূপের মতো তেজপাতা পোড়ালে কী লাভ হতে পারে?
অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় যে, আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে তেজপাতার ধোঁয়া বিশেষ কার্যকরী। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও ভেষজ পাতার গন্ধ এমনিতেই পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গকে দূরে রাখে, ফলে ঘরের ভিতর পরিচ্ছন্ন থাকবে।
এর জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি তেজপাতা নিয়ে বাড়ির ভেতরেই কোনও কোণে জ্বালিয়ে রাখতে হবে। ক্রমে ক্রমে এই ধোঁয়া সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়বে।
এতে আমাদের মানসিক ক্লান্তি দূর হবে। ভেরিকোজ ভেনিস এবং জয়েন্টের ব্যথার মতো সমস্যা দূর হবে। পোড়ানো তেজপাতার ধোঁয়া ভাইরাল ইনফেকশনের মতো বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে।
এখানেই শেষ নয়, তেজপাতার ধোঁয়া নিশ্বাসের মাধ্যমে স্নায়ুতে পৌঁছে স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং মানসিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করাও তেজপাতার অনেক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। সূত্র: নিউজ এইট্টিন