বিচিত্র জগৎ ডেস্ক : বেশ সেজেগুজে অনেক আশা নিয়ে যুবতী পৌঁছে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয়। সেই দিনটি তাঁর কাছে খুবই বিশেষ ছিল। কারণ সেদিন তিনি প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন। এছাড়াও সেদিন ছিল তাঁর মায়ের জন্মদিন। কিছুদিন আগেই তিনি তাঁর মাকে হারিয়েছেন। এরপর বহু সময় অপেক্ষা করলেও তাঁর মনের মানুষ সেই ডেটে আসেননি।
এর ফলে ওই যুবতী এতোটাই মানসিক আঘাত পেয়েছেন যে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে 8 লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন। শুনতে আজব লাগলেও এমনই একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঝড়ের গতিতে।
আপনি কখনও শুনেছেন ডেটে না আসার জন্য, কারও বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাও আবার 8 লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা। এক যুবক ডেটে যাবেন বলেও, না আসার কারণে মারাত্মক মানসিক আঘাত পেয়েছেন ওই যুবতী।
এর জন্য তিনি সোজা পৌঁছে গিয়েছেন আদালতে। গোটা ঘটনায় ওই যুবতী এতোটাই রেগে গিয়েছেন যে, সোজা 8 লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করে দিয়েছেন। নেটিজেনরা রীতিমতো হতবাক ওই যুবতীর কাণ্ড দেখে। সোশ্যাল মিডিয়া এখন উত্তাল ওই যুবতীকে নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার মিশিগানে। সেখানকার বাসিন্দা কোয়াশোনটি শর্ট নামের একজন যুবতী জানিয়েছেন যে, ডেটে যাবেন বলেও ওই যুবক হাজির না হওয়ায় মানসিক আঘাত পেয়েছেন তিনি।
রেস্তোরাঁয় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার পরেও আসেননি সেই যুবক, তাই ক্ষতিপূরণ চাই। স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ওই যুবতী জানিয়েছেন যে, রিচার্ড জর্ডন নামের ওই যুবকের সঙ্গে যে দিন তাঁর দেখা করার কথা ছিল, সেই দিনই ছিল তাঁর মায়ের জন্মদিন।
কিছু দিন আগেই তিনি তাঁর মাকে হারিয়েছিলেন। এর ফলে সেই দিনটি তাঁর কাছে খুবই স্পেশাল ছিল। সেই দিন রিচার্ড না আসায় মানসিক ভাবে খুবই আঘাত পেয়েছেন তিনি। ওই যুবতীর দাবি, জর্ডন তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে মানসিক আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাই গোটা বিষয়টি প্রতারণার শামিল। এই জন্য তাকে 8 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
রিচার্ড জর্ডন নামের ওই যুবক রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েছেন ওই যুবতীর কাণ্ড দেখে। তিনি জানিয়েছেন যে, এর আগে আর কখনও কোনও রকম যোগাযোগ হয়নি শর্টের সঙ্গে। সেই ডেটেই তাদের প্রথম দেখা করার কথা ছিল।
একদিন দেখা না করায়, এই বিপুল অর্থের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করা আদালত এবং তাঁর সময় অপচয় করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। এরপর স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক হারমান মারাব্লে জুনিয়র সেই মামলার শুনানি করতে চাননি।
তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে যুবতীকে সার্কিট বেঞ্চে যেতে বলেন। কিন্তু, বিচারকের সেই কথা শুনে রেগে যান শর্ট। বেশ জোর গলায় আপত্তি করলেও, তাঁর কথায় কান দেননি বিচারক। তিনি সার্কিট বেঞ্চে স্থানান্তর করে দেন মামলা।