বিচিত্র জগৎ ডেস্ক : আমেরিকার মাউন্ট ডেসার্ট আইল্যান্ডের বাসিন্দা ব্লেক। অতলান্তিকের জলে তিনি নীল লবস্টারটি খুঁজে পেয়েছেন। চিংড়ির এই প্রজাতি অত্যন্ত বিরল। নেটমাধ্যমে তার ছবি পোস্ট করেছেন ব্লেক।
সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বিরল প্রজাতির লবস্টার পেলেন মৎস্যজীবী। আদ্যোপান্ত গাঢ় নীল রঙের এই লবস্টার অত্যন্ত বিরল। অতলান্তিক মহাসাগরের জলে তাঁর খোঁজ মিলেছে।
আমেরিকার পূর্ব উপকূলের মাউন্ট ডেসার্ট আইল্যান্ডের বাসিন্দা ব্লেক হ্যাস। অতলান্তিকের জলে মাছ ধরতে গিয়ে ২৭ বছরের এই যুবকই নীল লবস্টারটি খুঁজে পেয়েছেন। এই প্রজাতি এতটাই বিরল যে, ২০ লক্ষ লবস্টারের মধ্যে একটির রং নীল হয়। তা ধরতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে দাবি করেছেন যুবক।
টিকটকে লবস্টারটির ছবি পোস্ট করেছেন ব্লেক। ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাতে গ্লাভস পরে সেটি ক্যামেরার খুব কাছে ধরে আছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, ‘নীল লবস্টার! ২০ লাখে একটার রং এমন হয়।’
সংবাদমাধ্যমে ব্লেক বলেছেন, ‘‘এত উজ্জ্বল নীল রঙের সুন্দর লবস্টার আমি আগে কখনও দেখিনি। আমরা অনেক লবস্টার ধরি। কখনও কখনও কোনওটার লেজ বা শুঁড়ের দিকে অল্পবিস্তর নীল রং দেখা যায়। কিন্তু পুরো দেহ নীল রঙের হয় না। আমি তো এমন আগে দেখিইনি। আমার সঙ্গে আরও যাঁরা মাছ ধরেন, তাঁরাও কখনও এমন লবস্টার দেখেননি। আশা করি, আবার কখনও এমন লবস্টার ধরতে পারব।’’
লবস্টারটি জলেই ছেড়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন ব্লেক। এমন বিরল লবস্টার তিনি মারতে চান না।
লবস্টার সাধারণত খয়েরি বা ধূসর রঙের হয়। জিনগত বৈচিত্র্যের কারণেই কোনও কোনও লবস্টারের রং এমন নীল হয়ে যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দেহে প্রোটিন ক্রাস্টাসায়ানিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে এই রং দেখা যায়। তবে রান্না করলে এই নীল লবস্টারও আর পাঁচটা লবস্টারের মতোই সুস্বাদু হবে, দাবি বিশেষজ্ঞদের।