বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: একটি কুকুরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে একাধিক লাস্যময়ী তরুণী। তাদের মাঝখানে রাজার মতো বসে রয়েছে সে। এমন ছবি দেখে অবাক হচ্ছেন? শুধু তো এটুকুই নয়। বিলাসবহুল প্রাসাদ থেকে কোটি কোটি টাকা, কী নেই তার! তার সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চমকে যাবেন অনেকেই।
আর তাই, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কুকুরের শিরোপা উঠেছে তারই মাথায়। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কুকুরকে ঘিরে থাকে লাস্যময়ী তরুণীরা। পৃথিবীর ধনীতম জার্মান শেপার্ড প্রজাতির ওই কুকুরের নাম চতুর্থ গান্থার। আপাতত যে বাড়িতে আস্তানা তার, সেটি এককালে ছিল পপ সেনসেশন ম্যাডোনার মালিকানাধীন।
তবে কেবল এই একটিই বাড়ি নয়, বিভিন্ন দেশে একাধিক বাড়ি রয়েছে গান্থারের। রাজার হালে থাকে সে। সপ্তাহান্তে বেড়াতেও যায়। তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মোটে পছন্দ নয়। চাই ব্যক্তিগত গাড়ি। তাও আবার যে সে গাড়ি নয়, হতে হবে লিম্যুজিন। যাতে হাত পা ছড়িয়ে বসাও যায়, আবার মন চাইলে এ মাথা থেকে ও মাথা দৌড়ে বেড়ানোও যায়।
হোটেল নিয়েও তার ছুতমার্গ রয়েছে বিস্তর। পাঁচতারা হোটেলের সার্ভিসেই একমাত্র ভরসা তার। যাতে খাবারদাবার থেকে বিছানার চাদর, সবকিছুই হয় পরিপাটি। থাকে স্পা-র বন্দোবস্তও। এমনই নানা বায়না রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কুকুর চতুর্থ গান্থারের। আর সেইসব বায়নাক্কা তামিল করার জন্য লোকজনের সংখ্যাও কম নয় তার।
এই কুকুরটির যা সম্পত্তি, তার অনেকটাই অবশ্য মিলেছে উত্তরাধিকার সূত্রে। চতুর্থ গান্থারের বাবা তৃতীয় গান্থার ছিল জার্মানির এক ধনী মহিলা কার্লোত্তা লিবেনস্টাইনের পোষ্য। উত্তরাধিকার সূত্রে মালকিনের থেকে ৮ কোটি মার্কিন ডলার পায় সে। তার মৃত্যুর পর ওই টাকা যায় ছেলে চতুর্থ গান্থারের নামে।
বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করার পর ফুলেফেঁপে ওই টাকা এই মুহূর্তে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। আর পিতৃদত্ত সেই সম্পত্তিকে পুঁজি করে আপাতত বিলাসব্যসনে জীবন কাটাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কুকুর।