বিচিত্রজগৎ ডেস্ক : আমাদের পৃথিবী এখনো এমন কিছু রহস্য ধরে রেখেছে যার ব্যাখ্যা দিতে হার মানছে বিজ্ঞান। আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি অনেক কিছুর ব্যাখ্যাই দিতে পেরেছে কিন্তু ইতিহাসের অনেক ঘটনার ন্যূনতম ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বিজ্ঞান। এমন অদ্ভুত অমীমাংমিত রহস্য নিয়ে থাকছে এই প্রতিবেদন।
ব্রোঞ্জ যুগে সভ্যতাকে খুব দ্রুত সমৃদ্ধ হয়ে উঠছিল। নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছিলো। এর মধ্যে আগুনের বহুবিধ ব্যবহার মানব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো অনেক দূর। খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ শতকের দিকে এই অগ্রসরমান সভ্যতা ব্লাকবোর্ডে লেখা খড়িমাটির মতো মুছে গিয়েছিল ইতিহাসের পাতা থেকে।
ব্রোঞ্জ যুগের পতন ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। এর ফলে মানব সভ্যতা বলতে গেলে আরো হাজার বছর পিছিয়ে যায়। আধুনিক বিজ্ঞানও ব্রোঞ্জ যুগের পতনের বিষয়ে খুব সামান্য তথ্যই দিতে পেরেছে। কিংবদন্তী, সাহিত্য বা অনেক গবেষকের বর্ণনায় উঠে এসেছে, সমুদ্রে বসবাসকারী একদল মানুষ হঠাৎই ডাঙ্গায় চলে আসে এবং তাদের আক্রমণে পুরো সভ্যতাই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
কিন্তু সেই সমুদ্রের মানুষরা কারা, কোথা থেকে এসেছিলো, কেন আর কিভাবেই বা একটা অগ্রসরমান সভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলো তা আজে রহস্য হয়ে রয়েছে। রাপা নুই নামের আদিবাসীরা ৮৮৭টি পাথরের তৈরি বিশাল বিশাল মূর্তি অন্যকোন জায়গা থেকে ইস্টার দ্বীপে নিয়ে এসেছিলো।
ইস্টার দ্বীপের অতিকায় সব মূর্তিগুলোর কথা অনেকেই হয়তো জানেন। একজন ডাচ অনুসন্ধানকারী ১৭২২ সালে ইস্টার দ্বীপের এই মূর্তিগুলো আবিষ্কার করেন। দ্বীপের রাপা নুই নামের আদিবাসীরা ৮৮৭টি পাথরের তৈরি বিশাল বিশাল মূর্তি অন্যকোন জায়গা থেকে ইস্টার দ্বীপে নিয়ে আসে!
এতগুলো মূর্তির কথা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? ইস্টার দ্বীপে এই মূর্তিগুলো আনার বিষয়ে বেশকিছু যুক্তি বা তত্ত্ব আছে। যদিও সব তত্ত্বগুলোকেই বিজ্ঞানীরা উড়িয়ে দিয়েছেন কিন্তু গবেষকদের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি। এরপর অনেক দিন ধরেই পরীক্ষামূলকভাবে এরকম অতিকায় মুর্তি দ্বীপান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
কিন্তু সেসব পথিমধ্যেই ভেঙ্গে গেছে নয়তো কোন না কোন ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। উল্লেখ্য যে, রাপা নুই আদিবাসীদের পূর্ব পুরুষ ছিলো পলিনেশিয়ান এবং কিভাবে তারা এই মূর্তিগুলো বানিয়েছিলো বা এই দ্বীপে নিয়ে এসেছিলো তা আজো রহস্য হিসাবেই রয়ে গেছে।