ড. সরদার এম. আনিছুর রহমান : আজ শিক্ষা দিবস। শিক্ষাব্যবস্থায় নানামুখী সঙ্কটের মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশে পালিত হচ্ছে মহান শিক্ষা দিবস। আজকের দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিনের কথা। আজ থেকে অর্ধ শতক বছর আগে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেয়া ‘শরীফ কমিশনে’র শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল এই ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লেলিয়ে দেয় পুলিশ বাহিনী। তারই এক পর্যায়ে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজীউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন। সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
আজ অর্ধ শতক বছর পরও কি আমরা সেই কাঙ্খিত শিক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছি? এটা ভাববার সময় এসেছে। আজ এমন একটি পরিস্থিতিতে শিক্ষা দিবস পালিত হচ্ছে যখন আমাদের শিক্ষাখাতের এমন কোন একটি দিক নেই যে সেখানে সমস্যা নেই। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা সর্বত্রই সঙ্কট বিরাজ করছে। শিক্ষকতায় সমস্যা; শিক্ষার্থীদের সমস্যা; শিক্ষার গ্রহণের সুযোগের (ভর্তির আসন) সমস্যা; প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া সমস্যা; পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমস্যা; শিক্ষা উপকরণে সমস্যা (নোট বই এবং কোচিং-নির্ভর); ভাষা শিক্ষায় সমস্যা; গবেষণাগায় সমস্যা; মানসম্পন্ন শ্রেণিকক্ষের সমস্যা; গ্রন্থাগারের অপর্যাপ্ততা জনিত সমস্যা; শিক্ষকের বেতন কাঠামোতে সমস্যা; পাঠদান পদ্ধতিতে সমস্যা; অর্থাৎ সমস্যার অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে আমাদের গোটা শিক্ষাব্যবস্থা।
আজ এসব সঙ্কট থেকে উত্তরণ বিষয়ে কে চিন্তা করবে; যাদের হাতে এই সঙ্কট উত্তরণের চাবিকাঠি রয়েছে তারাই তো আরো বেশী করে সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শিক্ষাবিদদের অনেকেই দীর্ঘদিন থেকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও এর ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে কথা বলে আসছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
শিক্ষাবিদরা দেশের বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে কথা বলে এসেছেন দীর্ঘদিন থেকে। তুলে ধরেছেন প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি। এখানে সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বলার চেষ্টা করেছেন সেটি হল, ‘আমাদের শিক্ষানীতিতে পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের জন্য কোনো পাবলিক পরীক্ষার কথা বলা নেই, আমলারা নিজেদের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে এটি বের করে জোর করে তা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাবা-মায়েরা আগে আরও বড় হওয়ার পর ছেলেমেয়েদের কোচিং করতে পাঠাতেন। এখন এ শিশুদেরই গোল্ডেন ফাইভ পাওয়ার জন্য কোচিং করতে পাঠাচ্ছেন। তাতেই শেষ হয়ে যায়নি- এখন তাদের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করা হচ্ছে, ছোট ছোট শিশুদের হাতে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন ধরিয়ে দিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠানো হচ্ছে, সেই ছোট ছোট শিশুদের অন্যায় করতে শেখানো হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও এ নজির নেই, যেখানে একটি রাষ্ট্র তার দেশের শিশুদের অন্যায় করতে শেখায়। একটা দেশের মেরুদণ্ড পুরোপুরি ভেঙে দেয়ার এর চেয়ে পরিপূর্ণ কোনো পদ্ধতি আছে কি? শুধু প্রাথমিক সমাপনীতেই নয়, গেল কয়েক বছরে এমন কোনো পরীক্ষা নেই যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এইতো বুধবারও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর।
এ নিয়ে অনেক চেচামেচি হয়েছে, কিন্তু ‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’ এমন দশা যেন আমাদের। নীতিনির্ধারকরা যদি কথাগুলো একবার হৃদয় দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করতেন, তাহলে হয়তো আমরা সহজেই জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হতাম। কিন্তু যেখানে নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে সবাই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, সেখানে কে শুনবে এসব কথা?
‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড’- এ কথা আমরা সবাই স্বীকার করি এবং মুখে উচ্চারণ করি; কিন্তু বাস্তবে যত অবহেলা সব শিক্ষার প্রতি। তা না হলে কি ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীরা জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মতো করে খেলাঘর সাজাতে পারতেন? বিগত কয়েকটি সরকারের আমলে লক্ষ্য করা গেছে, নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরপরই সেই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নতুন কিছু করে নিজের কৃতিত্ব জাহিরের জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় হাত দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং নতুন কিছু করে কৃতিত্ব জাহির করতে গিয়ে জাতির মেরুদণ্ডকে আরও বেশি দুর্বল করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। বরং অন্যদের চেয়ে তাকে একটু বেশি উৎসাহী বলেই মনে হয়েছে।
মহাজোট সরকারের বিগত ৫ বছরের প্রথম দিকে শিক্ষামন্ত্রী জাতিকে নতুন নতুন স্বপ্নের কথা বলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় হাত দেন এবং ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। তিনি এমন সব পদক্ষেপ নেন যে, তা ২-৩ বছরের ব্যবধানেই ম্লান হয়ে যায়। ধীরে ধীরে আমাদের সামনে ফুটে ওঠে এর ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলো।
শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় শিশুদের জন্য পিএসসি ও জেএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা চালু করা হল। এর ফলে জাতির মেরুদণ্ডে আঘাত এলো আরও বেশি করে। এখানেই শেষ নয়, যে কোচিং-বাণিজ্য শিক্ষাকে গ্রাস করছিল, তা আরও বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠল। শিশুরা শিখল কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেতে হয়। কীভাবে নিজের পায়ে কুড়াল মেরে জীবনকে ধ্বংস করতে হয়।
শিক্ষাকে সাধারণত শিক্ষার্থী বা অভিভাবকরা জীবনে সফল হওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবেই বিবেচনা করেন। জীবনব্যাপী শিক্ষা গ্রহণের অভ্যাস ও নেতৃত্বের গুণাবলী তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্বসমাজের উপযুক্ত, কর্মক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যম এটি। এদিক থেকে শিক্ষাকে উৎপাদনশীল একটি শিল্প হিসেবে বিবেচনা করলে বলা যায়, দেশ ও বিশ্বসমাজের উন্নতির জন্য মানুষকে দক্ষ ও আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই শিক্ষার মূল লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কি সেটা করতে পারছে? এর উত্তরে সবাই হয়তো বলবেন, না। কিন্তু কেন পারছে না, সেটা কি আমরা একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি?
‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড’ কথাটার সারমর্ম হল, কোনো জাতিকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে প্রথমে তার মেরুদণ্ড শক্ত ও সোজা করতে হয়। আমরা দেখতে পাই, শিক্ষায় যে জাতি যত বেশি উন্নত, সে জাতি সব ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। সেই রোমান সভ্যতা থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক বিশ্বেও এ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে ইউরোপীয়রা। তাদের উন্নতির কথা আমাদের সবারই জানা।
অন্যদিকে বলা যায়, কোনো জাতিকে অকার্যকর করে রাখতে হলে তাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে শক্ত ভিত্তির ওপর গড়ে উঠতে না দেয়ার নীতি অনেক আগে থেকেই অবলম্বন করে আসছে সাম্রাজ্যবাদীরা। প্রায় দুইশ’ বছরের ব্রিটিশ গোলামি এবং দুই যুগের পাকিস্তানি গোলামি থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৪ বছর অতিবাহিত হচ্ছে, কিন্তু আমরা কি মেরুদণ্ড শক্ত করতে পেরেছি?
এজন্য যে মহাপরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা প্রয়োজন, আমরা কি সেটা পেয়েছি? বলা যায়, এর কোনোটিই নেই আমাদের। যখন যে সরকার ক্ষমতাসীন হয়, তারা নিজেদের মতো করে চিন্তা করে এবং শিক্ষায় নিজের দৃষ্টিভঙ্গি টেনে এনে তা বাস্তবায়ন করতে চায়। এতে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। আর এ সুযোগে বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে রাখার চেষ্টা করছে। এটা জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।
শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের মান-মর্যাদার কথাই ধরা যাক, বর্তমানে দেশে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা সাধারণ, ইবতেদায়ি, ইংরেজি মাধ্যমসহ ১১ ধারায় বিভক্ত। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তরে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যয়ে বিস্তর ফারাক। শিক্ষামানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে অর্থমূল্য। পাবলিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফল অর্জনের তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে কোচিং ব্যবসা। চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও প্রকৌশল কলেজের ওপর আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলেও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে এখনো ভ্যাট দিতে হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন কাজও চলছে ঢিমেতালে।
অন্যদিকে শিক্ষার হালের সঙ্গে ভালো নেই মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকরাও। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের মাসিক বেতন মাত্র এক হাজার টাকা। ৬ হাজার ৮৪৮টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় বর্তমানে ৩৪ হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি করছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৫১৯টি মাদরাসার শিক্ষক প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে বেতন পাচ্ছেন। অবশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোনো ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পান না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে কম বেতন পান। এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সব পর্যায়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য নিরসন ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল সর্বোপরি শিক্ষকদের মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন করছেন। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালুর দাবিতে সরকারি স্কুল ও কলেজ শিক্ষকরাও আন্দোলনে নেমেছেন।
সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে পুনর্নিধারণসহ ১১দফা দাবিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা।
এছাড়া বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষাকে এখন পণ্য করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা আন্দোলনের মূল মন্ত্র ছিল সবার জন্য বৈষম্যহীন শিক্ষার ব্যবস্থা করা। আমরা তা করতে পারিনি। গ্রাম-শহর, সাধারণ-কারিগরি শিক্ষা সবকিছুতেই বৈষম্য রয়েছে।
দেশ স্বাধীনের ৪৪ বছর পরও শতকরা ৪০ ভাগ জনগোষ্ঠী শিক্ষাবঞ্চিত। এতে দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ যে শিক্ষার আলো পেল না, তার পেছনে রাষ্ট্র ও সরকারের কী যুক্তি থাকতে পারে? এক্ষেত্রে কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কেননা, সার্বিকভাবে শিক্ষার প্রসারে শিক্ষাখাতে যেখানে ক্রমাগত বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন সেখানে হ্রাস করা হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জাতীয় আয়ের মাত্র আড়াই শতাংশের সামান্য বেশি, অর্থাৎ বাজেটের ১১.৬ শতাংশ, যা আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশের চেয়েও কম। রাষ্ট্র ও সরকারের এই ভূমিকা খুবই উদ্বেগজন। তাই আজ স্মরণে পড়ে গেল গ্রামবাংলার বহুল প্রচলিত সেই পুরানো প্রবাদের কথা- সারা অঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা?
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, দয়া করে জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন। তা না হলে যত ভালো কাজই করুন না কেন, এতে জাতির কোনো লাভ হবে না। জাতির সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে মেরুদণ্ডকে প্রথমে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে।
লেখক: শিক্ষা ও সমাজ বিষয়ক গবেষক এবং কলাম লেখক।