আমি জন্মেছি কৃষকের ভাঙ্গা কুটিরে
এক কৃষাণীর ছোট্ট উদরে দিয়ে মই
যন্ত্রনায় কাতর করেছি তারে
হালচাষ করেছি সেথায় বারে বারে।
বাবা টেনেছে হুক্কা আঙ্গিনায় বসে
পায়ের উপর তুলে পা সন্ন্যাসী বেশে
কোন এক প্রভাতি ক্ষণে ঘুরতে এলাম
ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সবুজের দেশে।
গোয়ালের মত সেঁতসেঁত মাটি
রুগ্ন কৃষকের ঘরে আবার শীতল পাটি,
উনুনে শূন্য হাড়ি, ছেঁড়া কাঁথায় গুটিয়ে গা
তাহাতেই কৃষকের সুখ, বলে কৃষাণী মা।
সকালের পান্তাভাতে শুকনা মরিচের ঝাল
তাহাতেই পাই মজা, কৃষকের গর্ব চিরকাল,
আমার শৈশব পাড়ি গরু-ছাগলের পালে
তপ্ত দুপুরে গোসল দিয়াছি তাদের বুচা মিঞার খালে।
গামছা মাথায় বাধিয়া মহিষের পিঠে
ভাবনায় ভেবেছি রাজকীয় মুকুটে,
ঘুরিয়াছি আঁকাবাঁকা মেঠো পথে
শমশের ভাবিয়া, কৃষকের লাঠি হাতে।
অভুক্ত মাটির বুকে লাঙ্গলের ফলা
তিক্ত রসিকতায় চিরি, হয়ে উতলা,
ছড়াইয়া সোঁনা মুঠিভরা ফসলের মাঠে
পাকিলে সোঁনা কাটিব তাহা, ভরিবে শূন্য গোলা।
কৃষকের ঘরে জন্ম আমার, গর্ব চিরকাল
আমি কৃষক অন্ন যোগাই ধনীদের তরে,
তারা হাসলেই আমি হাসি খুশিতে খুঁজি,
সুখ আমার কৃষকের ঘরে।
কবি: তারেক হাসান
(সিংগাপুর প্রবাসী)
২৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস