কোম্পানীর মালিকরা মানুষ কি হবে না
মানবতা, মানবিকতা কেন নেই এদের ভিতর
শ্রমিকের ঘামের ন্যায্য মুজুরী কেন দিতে চায় না ?
কেন সারাক্ষণ তাদের চাই লাভ লাভ আর লাভ ?
বিলাস বহুল গাড়ী সাথে চাই সুন্দরী নারী
রাজা মহারাজাদের মতো আলিশান বাড়ি.
শ্রমিকের পরিবার অনাহারী।
কেন এত বৈষম্য কেন মালিক মিথ্যা বলে
লস লস লস বলে শুধু ড্রামা করে ।
শ্রমিক বেচারা বোঝে কোথায় লাভ কোথায় ক্ষতি
জবাব দিলেই চাকুরী যাবে, গরিব সে, নাই কোন গতি।
নিরবে সব সয়ে যায়।
শ্রমিকের চোখে চোখে ভাসে পরিবারের খরচ,
অনাহারী মুখ
স্কুল- কলেজ, হাসপাতালের খরচ
মালিক যা বলে, নিরবে সয়ে যায়।
মে দিবস আসে মে দিবস চলে যায়
প্রতিবাদ ন্যায্য অধিকারের দাবী
দেবে থাকে কলিজায়,
সব নির্যাতন নিরবে সয়ে যায়।
আমি দিন মুজুর, আমি শ্রমিক, আমি কারিগর
আমি তৈরী করি অন্যের ঘর
স্বপ্নে থেকে যায় আমার বাসর।
বেতন মুজুরীর কাঁটা সেঁটে থাকে একই ঘরে
দিন শেষে মাস শেষে আমার মিলে সেই
নির্ধারিত বেতন, বেতন নাহি বাড়ে
বাজারে বাড়ে দাম, শ্রমিক সইতে না পারে।
দিন যতই বাড়ে ঋণের বোঝা
সংসার চালানো নয়তো সোজা।
বাকী থাকে ডাক্তার কবিরাজ,
স্কুল কলেজের বেতন,
শ্রমিক বেচারা শুধু দেখে যায় স্বপন।
মা বাবার সেবা,
ভাই বেরাদার এর দায়িত্ব
হক আছে বোন্ ভগ্নি পতি
শ্রমিক বেচারা হতে পারে না যোগ্য পতি।
কি করে, করে দায়িত্ব পালন
মুজরী একটাই বাড়েনা বেতন।
মাস শেষে কখনো কখনো
বেতন আসে যে কম ।
অসুস্থ হয়ে হলে এবসেন্ট
চটে যায় সুপার ভাইজার, ইঞ্জিনিয়ার
সে সাথে বাড়তি উপহার, মালিকের তিরস্কার ।
আমি শ্রমিক, আমি লেবার,
গোলামী করাই আমার কারবার
সাথে অপমান অপবাদ ধিক্কার,
দেশে বিদেশে সব মালিক চামার
মালিক শ্রেণী কেনো আধুনিক যুগেও
মুচ্চার, ধোপাদার কসাইয়ের চেয়ে অধম.
মালিকরা কি কোন দিন মানুষ হবে না
যাদের রক্তে ঘামে তৈরী করে নিজেদের সাম্রাজ্য
আর কত কাল শ্রমিক হবে অগ্রাহ্য
মে দিবসে শ্রমিকের শ্লোগান, ভিক্ষা নয়, দয়া নয়
অনুগ্রহ নয়, চাই ন্যায্য মুজুরী, যোগ্য সন্মান।
(সিঙ্গাপুর প্রবাসী)
কবি: মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু
৩০ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস