 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
বনে আগুন দেয়ার জন্য হানা দিলেন এক দল দস্যু। আর তা বনের রাজা টারজানকে খবর দিলেন খুদে এক হরিণ। খবর শুনে মুর্হুতেই উচ্চস্বরে হাঁক ছাড়লেন টারজান। তার ডাকে ছুটে এসে এক জায়গায় একত্রিত হোন বনের অন্য সব জীব-জন্তুরা। এই তো, শুরু হলো প্রতিরোধ। জীবন বাজি রেখে অস্তিত্ব রক্ষায় প্রাণপনে লড়াই। ছোট বেলায় কার্টুনে ঠিক এমনটাই দেখতাম আমরা। বনের রাজা টারজান মানেই অসহায় জীব জন্তুর বন্ধু। কিংবা বন রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত। যেখানে মানবতা কাঁদে, সেখানেই ছুটে যান টারজান।
অথচ এদিকে দেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’ ধ্বংসের পথে। আর এটি আমরা দেখেও না দেখার ভান করে চুপচাপ হাঁটু গেটে বসে আছি। অপার সম্ভবনার সুন্দরবন থেকে দেশ অনেক সুবিধা পেলেও এর দুর্দিনে কেউই নেই। বনটা পুড়ে চারখার করছে দুষ্কৃতিকারীরা। ধপায় ধপায় এতে আগুন দিয়ে জানান দিচ্ছে বিপদ সংকেত। এই তো গেল কয়েক মাস আগে সুন্দবনের ভেতর দিয়ে প্রবহমান শ্যালা নদীতে ট্যাংকারের তলা ফেটে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাটিতে ছড়িয়ে পড়ে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার তেল। এতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ গাছের শ্বাষমূলে তেলের আস্তরণ ও রাসয়নিক বিষ ছড়িয়ে পড়ায় নদীটি এখন মৃত প্রায়।
সুন্দরবনের গাছ পালা পুড়ে যাচ্ছে, নদী মরে যাচ্ছে, গাছ গুলোরও বেহাল দশা। কষ্টের কথা হলো আমাদের তো কোন টারজান নেই। তাই হয়তো আমাদের বন-জঙ্গলও অরক্ষিত। এক কথায় বিলুপ্তির সুন্দরবনে টারজান নেই, তাই এটি রক্ষায় আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
লেখক: আরিফুর রাজু
লেখকের একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত
২ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর