কবিতার মতো
একটি ঘর চেয়েছিলাম
ভালোবাসায় টুইটুম্বর
বিশ্বাসের ভর পুর।
এ ঘর হতে পারতো
নদীর তীরে বিলের ধারে,সমুদ্র সৈকতে
নির্জন পাহাড়ের চুড়ায়
যেখান থেকে মেঘের ভেলায় লুকুচুরি খেলা যায়।
জোৎস্নার রাতে চাঁদের সাথে
লুটোপুটি ভালোবাসার যেথায়
নুপুরের ঝংকারে কবিতার স্নান
দেখা যায় বর্ষার বারিধারায়।
কবিতার ছন্দের মতো
বাক্যের শেষে অন্তমিলের মতো
একটি মজবুত শব্দের গাঁথুনীর
কবিতা চেয়েছিলাম।
মাত্রা এসে ভেঙ্গেছে আমার
স্বপ্নের ঘর
ব্যাকরণের নিয়ম করেছে
আমার সর্বানাশ।
প্রিয়তমা তুমি যে আমার কবিতা
যতি চিহ্ন দিতে পারিনি বলে
চলে গেছ দূরে।
ভালোবাসার নাব্যতায় কাব্যতা
ছিলো না বলে
ছন্দ হারিয়েছে কবিতা।
আমি যে ছকে বাধা নিয়মের কবি নই
আমি কষ্টের কষ্টি পাথরের যাচাই করা
যন্ত্রনা বিলাসের কবি।
হয়নি কবিতা
বাঁধা হয়নি কবিতার মতো
ভালোবাসার বিশ্বাসের ঘর।
আমি নাস্তিক ছিলাম না !
আমি অকৃতজ্ঞ ছিলাম না !
আমি মায়া মমতার ভিখারী ছিলাম,
ভালোবাসার ভিখারী ছিলাম!
আমি বিশ্বাস চেয়েছিলাম ধরনীর কাছে
পাইনি, হতে পারিনি!
তাই কবিতার মতো
মায়া মমতা বিশ্বাস ভালোবাসার
ঘর করা হলো না।
এ জীবনে না হলো কবিতা
না হলো ঘর
আপন হয়েও আজ আমি
নিজেই নিজের কাছে পর।
কবি: মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু
০৬ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস