গায়ের সেই আঁকাবাঁকা মেঠো পথে
চলছে ললনা ফুলছড়ি হাতে,
বহুদিন দেখিনা, পল্লীবধূ কলসী কাকে
পুকুর ঘাটে, আলতা রাঙা পায়।
দেখিনা ফসলের মাঠে কৃষাণীর পদচারণ
ভর দুপুরে ভাতের পোটলি টা মাথায়
নিয়ে ছুটে, স্বামীর ক্ষুধা নিবারণে,
দেখিনা নববধূর নকশী কাঁথায়
রঙিন সূতোয় আঁকা মনের আল্পনা।
শুনিনা কতদিন, মাঝির ভাটিয়ালী গান
বাউলের একতারার সূর!
রাখালের ডাংগুলি খেলা, শুনিনা
রাখালিয়া বাঁশির, সেই সূমধুর সূর।
দেখিনা নগ্ন গায়ে শিশুদের ছোটাছুটি
বাঁশের সাঁকোতে উঠে, জলে লাফালাফি,
জেলের দলে জাল ফেলে মাছ ধরা
বিলের জলে অথিতি পাখি।
আমি-
বউচি খেলা খেলিব এবার
শত কিশোর -কিশোরীর সাথে
খেলিব আমি সাধের কানামাছি,
শুনিবো আবার তানপুরানের গল্প
নও মন্ডলের মুখে শুনিবো পুঁথিপড়া,
দোলায়ে দেহ একটু হলেও নাচি।
সবুজের মাঠে ফলাবো ফসল
ভাসাবো মন হাওয়ায়,
দেখিবো আমি নয়ন ভরে
আমার পল্লী গাঁয়।
কবি: তারেক হাসান
১৮ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস