উঠানে দেবদারুর শুকনো পাতা
চুলোয় পোড়া মাটির গন্ধ; বাতাসে উত্তর ফাল্গুনী
মাটির শরীরে দারুন খড়া এঁকে দিয়েছে চৌচির রেখা
এই বিরান ভূমিতে পড়ে আছি আমি একা
বুকে নিয়ে জলের তৃষ্না
বাতাসে পাতার মর্মরে জেগে ওঠে-
অতন্দ্র প্রহরী দুটি চোখ
শরীরে প্রবাহিত হতে থাকে রিরি শিহরণ
বুকে বেড়ে যায় স্পন্দন গতি -ভালবাসারা
বিন্যাস্ত হতে থাকে কোষ থেকে কোষান্তরে
নিঃশ্বাসে এক বুক প্রতীক্ষা নিয়ে খুলে দেই
দক্ষিনের জানালা; কোই কেউ আসেনিতো!
সব ঠিক আগের মতই পড়ে আছে নিথর
কিন্তু আজ কারো আসবার কথা ছিল
নূপুর জড়ানো সাদা কোমল দু'খানি পা
চিকন গড়নের লাজের রেখা ফুটে ওঠা নরম শরীর
বুকের ভাঁজে করুণ শঙ্খ; শঙ্খের সুর
রেশম কাঁধে ঝুলানো লোটন খোঁপা;
তাতে ঘাস ফুলের বেড়ি
ললাটে সৌকর্যময় টীপ; তার নিচে
দু'চোখে ওলের ময়াবী নকশা; ওষ্ঠদ্বয়ে শিশির কণা
ঐ ওষ্ঠ হতে শুষে নেব ভালবাসার সুপেয় বিষ
মেটাবো চাতকের বাসনা
হ্যাঁ, এমনি কথা ছিল
তারই আসবার কথা ছিল আজ;
তার আসবার কথা ছিল।
কবি: সোহেল এমডি রানা
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস