শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:২৮:১৯

মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের হিড়িক

মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের হিড়িক

জিয়া হাবীব আহসান: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অভিবাসীদের দেশ’ বলা হয়। আদি বা সনাতনি আমেরিকান বলতে বুঝায় রেড ইন্ডিয়ানদের, কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কারকালে যাদের অস্তিত্ব খুঁজে পান। বর্তমানে দেশটি সমগ্র পৃথিবী থেকে আগত অভিবাসীদের বিচিত্র সংস্কৃতি ও সভ্যতার পাদভূমিতে পরিণত হয়েছে। আজকে যারা সাদা আমেরিকান, তারা কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পর সেখানে যাওয়া শুরু করেন। তারা আফ্রিকা থেকে কালো মানুষদের দাস হিসেবে এনেছিলেন। আমেরিকায় সাদা-কালোদের বৈষম্য ও ভেদাভেদ মুছে দিতে সংবিধানে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সম্প্রতি সপরিবারে ২০ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য সফর করেছি। ৫০টি অঙ্গরাজ্যসংবলিত বিচিত্র এ দেশটি সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যের আয়তন বাংলাদেশের কয়েক গুণ। কিন্তু জনসংখ্যা খুবই অপ্রতুল। শত শত মাইল মানববসতি নেই। পুরো আমেরিকা বাংলাদেশের ৬০-৭০ গুণ বড় হলেও এর প্রতি বর্গমাইলে জনসংখ্যা মাত্র ৬৮ জন, আর বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৪৩ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি নাগরিকত্ব গ্রহণের আবেদন জমা দেয়ার হিড়িক পড়েছে, যা গত চার বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, অ্যাটর্নি, ইমিগ্রান্ট বিশেষজ্ঞসহ মার্কিন নাগরিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিবাসন বছরের প্রথম তিন মাসে নাগরিকত্বের জন্য আড়াই লাখ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। নানা সংশয়, শঙ্কা নিয়ে অভিবাসীদের দ্রুত মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য এসব আবেদনপত্র জমা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের মধ্যে নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য যারা উপযুক্ত, তারা আর দেরি করতে রাজি নন। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচণ্ড অভিবাসনবিরোধিতাকে ইস্যু করা এর অন্যতম কারণ হিসেবে অভিজ্ঞ মহল মনে করে। অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আনুমানিক এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ ইমিগ্রান্টের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ ইমিগ্রান্টকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক বৈধতা দেয়ার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা তার নির্বাহী ক্ষমতাবলে যে আদেশ দিয়েছিলেন, তার কার্যকারিতার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখার পরও ওবামা বিপুলসংখ্যক অবৈধ ইমিগ্রান্ট, যারা আমেরিকান বা স্থায়ী বাসিন্দাদের বাবা-মা, তাদেরকে বৈধতা দিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান তাকে যে বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছে, তার বলে এটা করতে পারেন। অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বৈধতা দিয়ে ওবামা ভঙ্গুর ও কঠোর ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে মানবিক ও ন্যায়ানুগ করতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা তার মেয়াদকালে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের প্রবল বাধা সত্ত্বেও ‘ডাকা’ ও ‘ডাপা’র আওতায় কয়েক লাখ তরুণকে সাময়িক বৈধতা দান এবং সর্বশেষ, প্রায় অর্ধকোটি অবৈধ ইমিগ্রান্টকে বৈধতা দেয়ার জন্য নির্বাহী আদেশ জারি করলেও প্রায় ২৫ লাখ অবৈধ ইমিগ্রান্টকে ডিপোর্ট করে ইমিগ্রেশন প্রবক্তাদের কাছে ‘ডিপোর্টার ইন চিফ’ হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। এই সংখ্যা পুরো বিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করা ইমিগ্রান্টদের সমান। আগামী ক’মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদের যে সামান্য অংশটুকু দায়িত্ব পালন করবেন, পুরোটা জুড়েই থাকবে তার ইমিগ্রেশন ইস্যুতে জারিকৃত নির্বাহী আদেশ, সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা বিভাজনের প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা একমত, প্রেসিডেন্ট অবৈধ ইমিগ্রান্টদের ডিপোর্টেশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তার স্বেচ্ছাধীন বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন এবং এর ফলে কংগ্রেসের ক্ষমতাকে কোনোভাবে লঙ্ঘন করা হবে না। তদুপরি বেশ ক’জন প্রেসিডেন্ট এ সম্পর্কিত সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ওবামার জন্য কাজটি সহজ করে গেছেন। তিনি যদি তার নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে সংবিধানসম্মতভাবে তার বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেন, তাহলে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ নির্দেশনাও লঙ্ঘিত হবে না।


প্রফেসর পিটার ইমিগ্রেশন সংস্কার সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ওবামার উদ্যোগের বিস্তারিত উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বসবাসের ব্যাপারে প্রশ্নও তুলেছেনÑ কেন এসেছে আমেরিকায় আর তারা করছেই বা কী? তিনি নিজেই উত্তর দিয়েছেন, ‘তারা এসেছে নিজ দেশের নৈরাশ্যজনক পরিস্থিতি, যুদ্ধ-সহিংসতা এড়াতে। তাদের অনেকেই আছে বহু বছর ধরে, ন্যূনতম মজুরিতে কাজ করছে, আমাদের ঘরদোর পরিচ্ছন্ন রাখছে, কাপড়চোপড় ধুয়ে দিচ্ছে, আমাদের শিশুদের লালনপালন করছে, বাড়িঘর সংস্কার করছে, লনের ঘাস কাটছে, ক্ষেতের ফসল তুলছে, গাড়ি মেরামত করছে। তারা আমাদের সাথেই চার্চে গিয়ে প্রার্থনায় যোগ দিচ্ছে, কমিউনিটি তৎপরতায় অংশ নিচ্ছে, তাদের সন্তানেরা আমাদের সন্তানদের সাথে বড় হচ্ছে। তাদের ক্ষুদ্র একটি অংশ ছাড়া ট্যাক্স দিচ্ছে নিজেদের ও পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় সহায়তা লাভের উদ্দেশ্যে। সংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের অধিকার অর্জনের জন্য নিজেদের যোগ্য করে তুলেছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ ইমিগ্রান্ট রয়েছে, যাদের ৬০ শতাংশের বেশি কমপক্ষে এক দশক ধরে বাস করছে, আনুমানিক ৫০ শতাংশ মেক্সিকান এবং যাদের প্রায় ৪০ লাখের বাবা-মা সন্তান জন্ম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্রে। অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বেশির ভাগ বাস করে ছয়টি স্টেটেÑ ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, নিউ ইয়র্ক, নিউজার্সি, ফ্লোরিডা ও ইলিনয়। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মশক্তির প্রায় ৫ শতাংশ জোগান দেয়। প্রফেসর বেঞ্জামিন এন কার্ডোডো বলেন, প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ক্ষমা করার ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট ওবামা অবৈধ ইমিগ্রান্টদের সিভিল ইমিগ্রেশন ভায়োলেশনের বিষয়গুলো নিঃর্শতভাবে মার্জনা করতে সক্ষম, যা তাদের শাস্তি ও বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা করবে। অন্য দিকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আইন লঙ্ঘনকারীদের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ অপরিবর্তিত থাকবে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার কর্তৃক প্রায় পাঁচ লাখ আমেরিকানকে ক্ষমা প্রদর্শনের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ভিয়েতনামে সামরিক অভিযানে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকতে খসড়া আইন লঙ্ঘন করেছিলেন। অতীতের আরো কিছু দৃষ্টান্তের উল্লেখ করা যায়। প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন, টমাস জেফারসন ও আব্রাহাম লিংকন জনস্বার্থে বিপুলসংখ্যক আমেরিকানকে নিষ্কৃতি দিয়েছেন। কাজেই ওবামা অবৈধ ইমিগ্রান্টদের মধ্যে যারা আমেরিকান সন্তানের বাবা-মা, তাদেরকে ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া থেকে বের করে এনে সাময়িক বৈধতার সুযোগ দিতে তার নির্বাহী আদেশ জারি করে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন, যদিও এর কার্যকারিতা আদালতের সিদ্ধান্তে আপাতত স্থগিত।
ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে যে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে তা গোপন বিষয় বলে মনে করেন না প্রফেসর বেঞ্জামিন এন কার্ডোডো। প্রেসিডেন্ট রিগ্যান এক সময় বলেছিলেন, ইমিগ্রেশন পদ্ধতি যেমন হওয়া উচিত, সেটি তেমন যৌক্তিক বা গোছানো অবস্থায় নেই। প্রেসিডেন্ট কার্টারও তার সময়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ ‘আন্ডারক্লাস’ মানুষ বসবাস করছে, যাদের কার্যত ডিপোর্ট করা সম্ভব হবে না, অথচ তারা বছরের পর বছর ধরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় পুলিশ, কাজে নিয়োগকারী এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে স্থায়ী ভীতির মধ্যে থাকবে। এটা কিছুতেই বাস্তবসম্মত হতে পারে না। তাদের লুকিয়ে থাকতে হয়। অবাধ ও উন্মুক্ত একটি সমাজের বহু সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। তারা যুগের পর যুগ যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেও আমেরিকান হওয়ার জন্য সূর্যালোকে বের হয়ে আসতে পারে না। ইমিগ্রান্টদের প্রসঙ্গে কথা বলার অর্থ, আমাদের রাস্তায় সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত, ভয়ঙ্কর অপরাধী বা সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের কথা নয়। অপরাধীরা যদি ইমিগ্রান্টদের মধ্য থেকে হয়, তাহলে তাদের অবশ্যই ডিপোর্ট করা প্রয়োজন। অবৈধ ইমিগ্রান্টদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন, যাদের বেশির ভাগই অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ছাড়া আইনানুগ বাসিন্দা, যারা সমাজের কার্যকর সদস্য হিসেবে নতুন জীবন আশা করে। কিন্তু ইমিগ্রেশন সংস্কার নিয়ে বহু বছর ধরে কংগ্রেসের ক্লান্তিকর বিতর্কের পরও কংগ্রেস অবৈধ ইমিগ্রেশনের এই মূল সমস্যা সমাধান করার পক্ষে একমত হতে পারেননি। এভাবে খুব আশাবাদী উদ্যোগের মৃত্যু ঘটেছে শেষ পর্যন্ত। ২০১৩ সালে সিনেট কম্প্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিল পাস করেছে, কিন্তু হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে কোনো সমর্থন পায়নি। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশকে আটকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সমস্যা যে তিমিরে ছিল, সে তিমিরেই আছে। সম্প্রতি আমেরিকার কিছু অঙ্গরাজ্যে ইমিগ্রেন্টবিরোধী আইন পাস হচ্ছে। যেমনÑ আরিজোনা, আলাবামা, জর্জিয়া ও ইউটাহ। জেনে রাখা দরকার, তাদের আইনগুলো শুধু তাদের অঙ্গরাজ্যেই প্রযোজ্য, অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে নয়। অন্য দিকে মৌলিক অধিকারগুলো সারা আমেরিকার, সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।

বর্তমানে নাগরিকত্বের আবেদন এত বেশি পড়েছে যে, অভিবাসীপ্রধান নগরগুলোতে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য আবেদনকারীদের সহযোগিতা করছে। ইংরেজি ভাষা শিক্ষাসহ নাগরিকত্বের পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন অভিবাসী দলকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। অভিবাসীদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পভীতিকে কাজে লাগাবেন ডেমোক্র্যাট পার্টির সংগঠকেরা। যত বেশি অভিবাসী নাগরিকত্ব গ্রহণ করে ভোট দেয়ার উপযুক্ত হবে, নিজেদের ভোট তত বেশি বাড়বে বলে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের প্রত্যাশা। নিউজার্সি অভিবাসন কেন্দ্রে উপস্থিত ডেমোক্র্যাট আশোক আইওয়াতামি জানালেন, অভিবাসীরা ভোটের মাধ্যমেই অভিবাসন বিরোধিতার জবাব প্রদান করবেন। নি¤œ আয়ের অভিবাসীদের আবেদনপত্রের জন্য ফি মওকুফের বিধান রয়েছে। অভিবাসীদের সহযোগিতার জন্য নাগরিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এখন খুবই তৎপর। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরা অভিবাসনের প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া শেষে নাগরিকত্ব অর্জনের যোগ্যতা লাভ করে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় ‘গ্রিন কার্ডধারী’ হিসেবে অভিবাসন শুরু হয়। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে রীতিমতো নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। নাগরিকত্ব পরীক্ষার জন্য বেশ কিছু গৎবাঁধা প্রশ্নের উত্তর জানতে হয়। আমেরিকার সমাজ, সরকারব্যবস্থা, ইতিহাস নিয়ে নাগরিকত্বের পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শপথ গ্রহণের মাধমে নাগরিকত্বের সনদ প্রদান করা হয়। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আমেরিকায় আসা অনেক অভিবাসীই নাগরিকত্ব গ্রহণে এক পর্যায়ে উদাসীন দেখা যায়। অভিবাসনের একপর্যায়ে অনেকেরই তাদের নিজেদের ফেলে আসা দেশের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকেই আবার নিজেদের ফেলে আসা দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতে চান না মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য ফি হিসেবে অর্থব্যয় করতে অনীহা দেখা যায় কোনো কোনো অভিবাসীর মধ্যে। সাধারণত যারা ফেলে আসা পরিবার-পরিজনকে অমেরিকায় আনার জন্য উন্মুখ, তাদের বেলায় নাগরিকত্ব গ্রহণের তাড়না থাকে। মার্কিন নাগরিকত্ব না থাকলে ভোট প্রদান করা যায় না।-নয়া দিগন্ত

লেখক : আইনজীবী, সুশাসন ও মানবাধিকার কর্মী
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে