প্রবাস ডেস্ক : বাংলাদেশের কে কীভাবে আমেরিকার ভিসা পেলেন সেই গল্প শোনালেন প্রবাসী সাংবাদিকরা। সেইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি জীবনের নানান খুঁটিনাটি কথা। পেশাগত জীবনের শুরু থেকে এ যাবৎকালের কোনোকিছুই বাদ যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস-এর সাপ্তাহিক রানার পত্রিকার কনফারেন্স হলে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক মনোয়ারুল ইসলাম এবং এটিএন বাংলা ইউএসএ’র বার্তা সম্পাদক ও আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দর্পণ কবীর এ আড্ডার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে আট দিনের সফরে নিউইয়র্ক এসেছিলেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে আসা সাংবাদিকদের সম্মানে মূলত এ আড্ডা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এতে ঢাকা ও নিউইয়র্কের প্রায় ২৫ জনের মতো সাংবাদিক অংশ নেন। আড্ডায় আমেরিকার ভিসা প্রসঙ্গের পাশাপাশি পেশাগত দীর্ঘ জীবনের নানান অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন তারা।
সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এ আড্ডা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। এতে ঢাকার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক এবং কমুনিটি অ্যাক্টিভিস্টদের কাছে কয়েকটি দাবি তোলা হয়।
মানবকন্ঠের প্রধান প্রতিবেদক সোহেল হায়দার চৌধুরী নিউইয়র্কে পেশাগত কাজে সফরে আসা সাংবদিকদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সোসাইটি এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর কাছে আবেদন রাখেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ অধিবেশন চলাকালে ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিকরা এখানে এসে আবাসন এবং পরিবহন সংকটে পড়েন। নানাবিধ সমস্যায় পড়লেও তাদের দেখার কেউ থাকে না। সে কথা কাউকে তারা মুখ ফুটে বলতে পারেন না।
তার প্রস্তাবের গুরুত্ব উপলব্ধি করে আড্ডার আয়োজক মনোয়ারুল ইসলাম এবং দর্পণ কবীর এ বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। উপস্থিত প্রবাসী সাংবাদিকরাও তাদের সাথে একমত প্রকাশ করেন।
বাংলার বাণীর সাবেক প্রধান প্রতিবেদক নিউইয়র্ক প্রবাসী দাউদ ভূঁইয়া সফররত সাংবাদিকদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যাপারে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।
আড্ডায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ফোকাস বাংলার প্রধান ও সিনিয়র ফটোসাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয়, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আবু তাহের খোকন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সাইফুল আসলাম কল্লোল, দৈনিক ইসকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি শামীম সিদ্দীকি, মানবকন্ঠের প্রধান প্রতিবেদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
নিউইয়র্কের সাংবাদিকদের মধ্যে অংশ নেন সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক ফজলুর রহমান, বাংলা প্রত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভির সিই্ও আবু তাহের, সাপ্তাহিক এখন সময়ের সম্পাদক কাজী শামসুল হক, মানবজমিনের সাবেক ডেপুটি এডিটর ও বাংলাভিশনের উত্তর আমেরিকা প্রধান মনির হায়দার, এখন সময়ের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দীকি, সাপ্তাহিক ঠিকানার জাবেদ খসরু, প্রবাস নিউজ ডটকমের সম্পাদক ও ভোরের কাগজের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি শামীম আহমেদ, প্রবাস নিউজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবর, বর্ণমালার বিশেষ প্রতিনিধি সনদীপন সরকার, একুশে টিভি উত্তর আমেরিকা ব্যুরো প্রধান ইমরান আনসারি, সাপ্তাহিক আজকালের বিশেষ প্রতিনিধি শওকত ওসমান রচি, ভোরের ডাকের বিশেষ প্রতিনিধি তুহিন সাজিদ, রাইজিং বিডির সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম, আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা এ ধনের আয়োজনের প্রশংসা করেন।
৬ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম